বুধবার, আগস্ট ২৭, ২০২৫ ||

দেশ প্রতিদিন
হোম / খবর

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের উপর হামলা ও সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ:

সোমবার, আগস্ট ২৫, ২০২৫ || ০৮:১৫

161

দেশ প্রতিদিন

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের উপর হামলা ও সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ

ছবি- সংগ্রহিত
নওগাঁ, ২৫ আগস্ট ২০২৫: নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার লোহাচূড়া গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য খন্দকার সুলতান আরেফিন(৬৫) এর উপর হামলা ও তার মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি আশিকুজ্জামান আশিক, যিনি নওগাঁ সিএনজি সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে দুর্নীতির অভিযোগে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ পন্থী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় হাটখোলা বাজারের একটি মসজিদে।
খন্দকার সুলতান আরেফিন তার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন যখন আশিকুজ্জামান আশিক উগ্রভাবে তার উপর হামলার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসেন। তাকে না পেয়ে আশিক তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এবং হৈচৈ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সুলতান আরেফিন জানান, আশিকুজ্জামান বর্তমানে রাণীনগরের লোহাচূড়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে আছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পারিবারিক ব্যবসা ও জমি-সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে আশিকুজ্জামান তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন এবং তার সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করছেন।অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আশিকুজ্জামান আশিক সুলতান আরেফিনের বড় ভাই মৃত আনোয়ার হোসেন বকুলের তৃতীয় মেয়ের জামাতা। বর্তমানে তিনি মৃত আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। খন্দকার সুলতান আরেফিন জানান, তিনি এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। তিনি জনসাধারণের কাছে তার জানমালের নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে হুমকির মুখে আছি। আমি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের কাছে এ ঘটনা শেয়ার করছি এবং আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।” এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগটি গৃহীত হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে অভিযুক্ত আশিকুজ্জামান আশিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। আশিকুজ্জামান আশিকের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং পারিবারিক বিরোধের কারণে এমন হামলার চেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। আরও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।