শিরোনাম
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত অধিকার নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহে মৌন মানববন্ধন

ইসলামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্প কাজ চলছে ঢিলেঢালা

মোঃ রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, জামালপুর থেকে
  • আপডেট মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৬৫ দেখেছে
জামালপুরের ইসলামপুর ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসৃচী ১১০ দিন কর্মদিবসের দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ ৪  ফেব্রুয়ারী ২০২৩ শুরু হয়েছে। অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচীর ১১০ দিন কর্ম দিবসে কাজ করার কথা। ১২টি ইউনিয়নের ৯৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৮শ ১৪জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা। দৈনিক শ্রমিক প্রতি ৪শ টাকা হারে মজুরী পাবেন।  প্রকল্পে  মোট ১২ কোটি ৩৮ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ৯৪টি প্রকল্পের অধিনে শ্রমিক নির্বাচন করে শ্রমিকদের হাতে জব কার্ড বিতরণ করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে কাজ শুরু করার কথা ওইসব প্রকল্পের সভাপতিদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নসহ প্রায় সবকটি ইউনিয়নের চিত্র একই। গোয়ালের চর ইউনিয়নের ৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৭০নং প্রকল্প তারা বাড়ী পাকা রাস্তা হইতে নবীর উদ্দিনের বাড়ী হয়ে আবেদালীর বাড়ী ভায়া নোদার আলীর বাড়ী পর্যন্ত  রাস্তা  মেরামত। সেখানে ৪২জন শ্রমিক ৫কর্ম দিবস কাজ করার কথা থাকলেও কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা থেকে যে দিন কোন সাহেবেরা আসে ওই দিন শ্রমিকদের কাজ করতে  দেখা যায়। সাবেক ইউপি সদস্য শাহার আলী চটকা জানান, প্রতিদিন ৪২জন শ্রমিক কাজ করলে ৪২ জন শ্রমিকের মজুরী আসে প্রতিদিন ১৬ হাজার ৮শ টাকা। ১১০ কর্মদিবসে ১৮ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক দিবস কাজ চলছে তাতে ৫ ভাগের এক ভাগ কাজ হয়নি (মাটি কাটেনি)। সিংহভাগ টাকা লুটপাটের পায়তারা চলছে। এসব  দেখার  যেন  কেউ নেই।
অপর দিকে পলবান্ধা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড উত্তর সিরাজাবাদ আছমতের বাড়ী  থেকে সদাগরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের শুরুতেই কিছু অংশ মাটি কাজ করতে  দেখা যায়।  ১০নং গাইবান্ধা ইউনিয়নের কয়েকটি প্রকল্পে দেখা যায়, ওইসব প্রকল্পে কর্মদিবসে  কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি।  নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় কোন শ্রমিক নেই।
এ ব্যাপারে  চেয়ারম্যান  রোমান হাসানকে  মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ১ম প্রকল্পের কাজের  মেম্বার সাহেবরা নিজের পকেটে টাকা দিয়ে মাটি  কেটেছে। তাদের হাতে টাকা নেই। তারপরেও প্রত্যেক প্রকল্পের সভাপতিরা এখন পর্যন্ত ২য় পর্যায়ের দেড়-দুই লক্ষ টাকা কাজ করেছে। তাছাড়া রমজান মাস হওয়া শ্রমিকরা সঠিক সময়ে আসতে পারে না। ঈদের পর  থেকে একযোগে মাটি  কেটে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রোমানকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, কোথায় মাটি মাটি কাটা হয়নি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  মেহেদী হাসান টিটুকে মাটি কাটার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি এই প্রতিবেদকে জানান, কোথায় মাটি কাটা হচ্ছে না-সঠিক তথ্য জানান ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!