খুলনার কয়রায় চাঞ্চল্যকর রজব হত্যা মামলার আসামী মোস্তফা ঢালী (২৫) কে আটক করেছে খুলনা সিআইডি পুলিশ। গত ২৩ জুন বিকাল ৪ টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরার সদর থানা ভোমরা এলাকার দাতভাঙ্গা বিল থেকে খুলনার সিআইডি বিশেষ পুলিশ অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে পুলিশের এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান তাকে আটক করেন।
সিআইডি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৬ জুন কয়রা উপজেলার ৪ নং কয়রা গ্রামের রজব আলী ঢালী (৫৫) কে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে তার চাচাতো ভাইপোরা। এ ঘটনায় রজব আলীর স্ত্রী খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে কয়রা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১, ৪, ও ৬ নং আসামী বাদে সকল আসামীরা আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। ৯ মাস পর ১লা মার্চ এদের ২ জন হত্যা মামলার প্রধান আসামী দূর্লভ ও তার পিতা দুলু ঢালীকে ভারতে থেকে আসার পথে বর্ডার থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অবশেষে ১ বছর পর ৬ নং আসামী মোস্তফা ঢালী ভারতে থাকার পর সিআইডি তাকে আত্মসমর্পনের কথা বলে দেশে ফিরিয়ে আনে। এক পর্যায় ২৩ জুন সাতক্ষীরার ভোমরা বর্ডার পার হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান তাকে আটক করে। আটককৃত মোস্তফা ঢালী ২৪ জুন কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, তার জবানবন্দীতে রজব আলীকে হত্যা করেছে তার আপন ভাই দূর্লভ ঢালী বলে স্বীকার করেন।
আসামী মোস্তফা ঢালী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমাদের একটি গরু আমার চাচা রজব আরীর কলাগাছ খায়। ওই ঘটনা নিয়ে চাচা রজব আলীর সাথে আমার বাবার কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায় মারামারি লেগে যায়। তখন আমার ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে বাবার পক্ষ নিয়ে চাচাকে পিছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার চাচা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে রক্তমাখা অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন ২৭ জুন ২০১৯সকালে মারা যায়। মোস্তফা তার জবানবন্দীতে আদালতকে আরও জানায় ঘটনার সময় অন্যান্য আসামীরা কেউ উপস্থিত ছিল না।