চলো ফিরে যাই শৈশবে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ত্রিশালে এস এস সি ১৯৯৫ ব্যাচ এর মিলন মেলা উদযাপন করেছেন।
শিক্ষাজীবন পেরিয়ে যখনই জীবিকার ভার পড়েছে সবার মাঝে তখন তারা যে যার মতো করে ছুটেছেন জীবন সংগ্রামে। কেউ সরকারি চাকুরীজীবী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ মধ্যপ্রাচ্য কেউ বা ইউরোপ আমেরিকাতে অবস্থান করছেন । শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মময় হয়ে উঠে অনেকেই।ইতিমধ্যেই দীর্ঘ ২৮ বছরে অনেকে বন্ধুদের মুখগুলো চিনতে ভুলে গেছেন। সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে স্কুল জীবনের বন্ধুগুলো। কিন্তু ২৮ বছর পর স্মৃতিচারণায় স্কুল জীবনের যে কথাগুলো উঠে এসেছে সেগুলো তাদের অনেক চেনা। এই আড্ডায় শরিক হওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে অনেক বন্ধু হাজির হয়েছেন।
এমনিভাবেই গতকাল ৩ মার্চ শুক্রবার ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৯৫ সালের এসএসসি ব্যাচ এর দুই শতাধিক বন্ধু একসঙ্গে সারা দিন আড্ডা, খাওয়া, ছবি তোলা, নাচ, গানে মশগুল ছিল সারাদিন । ঔখানে ছিল না কোনো অভিভাবক এমনকি জুনিয়ররাও। ফলে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় দিনটি চমৎকার উপভোগ করে দারুণভাবে । যেন হারিয়ে যান সেই ১৯৯৫ সালের দিকে।
ত্রিশালের ড্রিম ভিলেজ পার্কে বন্ধুদের মিলন মেলা ইতিহাসে এক বিরল ঘটনার জন্ম দেন তারা। এ.কে.এম. আমিনুল হক, শরিফুজ্জামান সিজার, আলমগীর হোসেন, সোহেল খান, আনিস আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার কাজল, রুকন, মিন্টু অন্যান্য বন্ধুরা একত্রিত হয়ে এই আয়োজন করে উপজেলার ১৯৯৫ সালের এসএসসি ব্যাচদের উৎসাহ উদ্দীপনা যুগিয়ে মিলন মেলা সফল করেন।
এই মিলন মেলায় ছিল হাড়ি পাতিল ভাঙ্গা খেলা, বালিশ খেলা, ফুটবল খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বন্ধুদের পরিচিতি সভা, র্যাফেল ড্র। শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালা শুরু করেন তারা। প্রয়াত বন্ধুদের জন্য মোনাজাত করা হয়।
উদ্যোক্তারা জানান আগামী বছরে বিশাল আকারে সকলের ফ্যামিলি সদস্যদের নিয়ে এই মিলন মেলার আয়োজন করবে।