আন্তঃনগর তিস্তা ট্রেনের আলমাস (৩২) নামের এক এটেনডেন্টসকে টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আরেক এটেনডেন্টস পালিয়ে গেলেও তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ডিসেম্বর) দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ রেলষ্টেশনে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ রেলষ্টেশনের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ চলে আসছিল। মাঝে মাঝে অভিযান হলে কিছুদিন এসব বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়। তাই বৃহস্পতিবার(০১ডিসেম্বর) দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ টু ঢাকাগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও)কামরুন্নাহার শেফা টিকিট কালোবাজারি চক্রকে হাতেনাতে ধরতে যাত্রী সেজে আকস্মিকভাবে রেলস্টেশনে হাজির হন। এ সময় তার সাথে ছিল না গাড়ী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরনে ছিল বাসার পরিচর্যাকারীদের থেকে নেওয়া পোশাক পায়ে ছিল ছেড়া সেন্ডেল । সাদামাটা পোশাক পরে আসা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য সাথে না থাকায় বুঝার উপায় ছিলনা তিনি ইউএনও। একজন সাধারণ যাত্রী সেজে একা একা ষ্টেশনে টিকিট খুজছিলেন। এমন সময় সেই এটেনডেন্টস কোথায় যাবেন ট্রেনের ভেতরে আসেন সিট দিব! তাদের কথামত তিনি ট্রেনের বগির ভেতরে গেলে তারা ৬টি আসের তিনটি টিকিট প্রদান করেন। পরে তাদেরকে পাকড়াও করার নির্দেশ দেন ইউএনও। এই ঘটনায় রেল স্টেশনে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা এই রেল স্টেশনের টিকিট কালোবাজারি চক্রকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে আসছিলাম । আজ যাত্রীর ছদ্মবেশ ধারণ করে একজনকে আটক করেছি। এই চক্রকে নির্মূল করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে