মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ নভেম্বর। ১৯৭৬ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল।
মাওলানা ভাসানী বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে এই মহান নেতার জন্ম হয়। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন সন্তোষে। তিনি কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও ছিলেন তিনি।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মওলানা ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। তার রাজনীতি ছিল গ্রামভিত্তিক ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে। তিনি রাজনীতি করেছেন সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণের পক্ষে। মওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ভাসানীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন কাজ করে গেছেন।