রাজশাহীর তানোরে খাল খননের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় স্থানীয় ও একাধিক অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প জলে। এমন খবরে টনক নড়ে উপজেলা ও জেলা এলজিইডির কর্তা বাবুদের । এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কথিত হাতিশাইল ঘৃত কাঞ্চন (পানি ব্যবস্হাপনা) সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ক্ষমতা সীন দলের নেতা নুরুল ইসলাম প্রামানিক বিল উত্তোলন করতে একটি স্হানীয় পত্রিকায় মিথ্যা প্রতিবাদ প্রকাশ করেন । যার প্রতিটি কথায় মিথ্যার ফুলঝুরি। কথায় বলে এক মিথ্যা ঢাকতে নাকি হাজারো মিথ্যা বলতে হয়। যার জলন্ত প্রমান এই নামধারী সভাপতি কলমা ইউপির চন্দন কোঠা উত্তর পাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম প্রামানিক। তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
তিনি প্রতিবাদে উল্লেখ করেন নিয়ম কানুন মেনে তানোর উপজেলার আজিমপুর ঈদগাহের নিচের খাল খনন করা হয়েছে। অথচ উপজেলায় আজিমপুর বলে কোন গ্রাম বা ঈদগাহ নেই। খাল খননের কাজ শুরু হয় ২০ মার্চ শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। দুটি ভেকু মেশিন দিয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। খনন চলা কালীন কোন ভারি বৃষ্টি হয়নি। যদি হত তাহলে কৃষকের ধান ডুবে যেত। তারা কোন ধান পেতেন না এবং খাল খননের জন্য মুল সমিতিসহ নয়টি সমিতির সাইনবোর্ড দেওয়া আছে। আবার তিনি বলেছেন বর্তমান সরকারে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য এমন মিথ্যা খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
খাল খননের শুরুতে মাত্র একটি সাইনবোর্ড মারা ছিল, সেই সাইনবোর্ডে লিখা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, স্হানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর,উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর, তানোর রাজশাহী, প্রকল্পের নামঃ ২০২১-২২ অর্থ বছর টেকসই ক্ষুদ্রকর পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাতিশাইল – ঘৃত কাঞ্চন ( এসপি নং ২২০২৪) উপ- প্রকল্পের চেঃ ০+০০০ কিলো মিটার হতে চঃ ০+ ৪৪৫ কিঃমিঃ খাল পুনঃ খনন।
এলসি নং-০১ ( এক)। চুক্তি মুল্যঃ ৪,৮৭,৯৭৪ঃ( চার লাখ নয়শত চুয়াত্তর) টাকা মাত্র। প্রকল্প সভাপতির নামঃ সোলাইমান, সাধারন সম্পাদকের নাঃ মাইনুল হক। সহযোগিতায়ঃ SSSWRDP
কাজ আরম্ভের তারিংঃ- ২০/০৩/২০২ খ্রিঃ
কাজ শেষের তারিখঃ- ৩০/০৪/২০২২ খ্রিঃ।
স্হানীয়রা জানান, যেখানে খাল পুনঃ খনন করা হয়েছে, সেখানে নুরুল কিভাবে বলেন খাল খনন করা হয়েছে দুটি ভেকু মেশিন দিয়ে। আসলে পুনঃ খনন আর খনন সেটাই তিনি জানেন কিনা সন্দেহ। মিথ্যারও একটা লিমিড থাকে। মাত্র এক দেড় কিলোমিটার খাল পুনঃ খননের সময় শুরু হয় পুকুর খনন। তিনচারটি ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন হয়ে কয়েকদিন পর থেকে ভারি বৃষ্টি হয়। পানিতে ভরে যায় খাল। খুব বেশি হলে এক দেড় কিলোমিটার খনন করা হয়েছে তাও যেনতেন ভাবে। বৃষ্টির পানিতে দীর্ঘদিন ধরে ভরে রয়েছে খাল। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বাঁধা এবং ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য প্রতিবেদন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের জন্য না, এদের মত দূর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের জন্যই গ্রামীণ উন্নয়ন হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি যত বরাদ্দ দিয়েছি গ্রামীণ রাস্তা ঘাট চকচকে থাকার কথা। কিন্তু যারা দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন মুলুক কর্মকাণ্ড ম্লান করতে চাই কিংবা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। এভাবে আর কত।