প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন “আমার গ্রাম আমার শহর” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ এর অর্থায়নে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে হাতের নাগালে।
সরেজমিনে গিয়ে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের স্বপ্নযাত্রা এ্যাম্বলেন্স সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারীর বলেন,স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের যে লক্ষ্য ছিল সেটিও পূরণ হবে। সরবরাহকৃত এ্যাম্বুলেন্স গুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী প্রত্যান্ত এলাকার মুমুর্ষু রোগীদের যথাসময়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছানোসহ স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান কারা সম্ভব হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে। আমার মান্দারী ইউনিয়নবাসী রাতে বা দিনে “স্বপ্নযাত্রা”এ্যাম্বলেন্স সার্ভিসের সেবা গ্রহন করে আনন্দিত। অচিরেই জেলার অবশিষ্ট ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এর কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে আমি আশাবাদি।
সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার শাকচর, বশিকপুর, মান্দারী ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের জন্য এ্যাম্বুলেন্স গুলো প্রদান করা হয়। এ্যাম্বুলেন্স গুলো উক্ত ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে সেবা প্রদান করছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সদর উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ৬টি এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করা হয়। ৬ টি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। উবার ও পাঠাওয়ের ন্যায় কল করে সার্ভিস চার্জ দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স গুলির সেবা পাচ্ছে স্থানীয় জনগণ।
মান্দারী ইউপি সচিব মিজানুর রহমান বলেন,স্বপ্নযাত্রা এ্যাম্বলেন্স সেবার মাধ্যেমে গ্রামীন জনগোষ্ঠি স্বাস্থ্যখাতে স্বল্প মূল্যে সেবা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন “আমার গ্রাম, আমার শহর” বাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুরে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবার একযোগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস যাত্রা শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় ক্রান্তিকালীন স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা পরিষদের গৃহীত এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় হিসেবে অভিহিত করেন এই ইউপি সচিব।