রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন স্বজনপ্রীতি করে জরিমানার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে দেখা যায় চাঞ্চল্য ও সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, পাকা রাস্তা নষ্ট করে পুকুর খননের মাটি বিক্রির দায়ে তালন্দ ইউপির নারায়ণপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের একজন পুকুর মালিককে ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবুর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে পুকুর মালিককে ৫হাজার টাকা জরিমানা করে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলাজুড়ে পুকুর খননের মাটি বিক্রি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, যেখান থেকে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে সেখানে গিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
নারায়ণপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মানুষ জানান, এতো পুকুর খনন করে সরকারি রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ইউএনও স্যার। আর শহিদুল ইসলামকে পুকুর খননের অনুমতি দেয়ার পরেও তাকে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অফিসে ডেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এটা আবার কেমন আইন বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
পুকুর মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, ইউএনও স্যার নিজে পুকুর খননের অনুমতি দিয়ে আবার তিনি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অফিসে ডেকে আমার ৫হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। যা অতি দুঃখজনক ঘটনা। আরো কত পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে সে গুলোতে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমার জরিমানা করেন তিনি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথের ফোনে একাধিক যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।