খুলনা সংবাদদাতা : খুলনায় রাইসা ক্লিনিকের মালিক ডা. মো. আবদুর রকিব খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও মামলা নিতে গড়িমসি করায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ওসিকে খুলনা মহানগর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র এডিসি শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ডা. মো. আবদুর রকিব খান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকাদের ধর্মঘট ডেকেছিল বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা শাখা। এরপর পাঁচ আসামিকে আটক করায় গত বৃহস্পতিবার ধর্মঘট ৭২ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এর মধ্যেই আজ দুপুরে ওসি আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করা হলো।
বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. বাহারুল আলম অনলাইনকে জানান, তাদের দেওয়া সময়ের আগেই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং প্রায় সব আসামিকে গ্রেপ্তার করায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। এরই মধ্যে বৈঠকে বসেছে বিএমএ। আজ বিকেলে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গত ১৪ জুন রাইসা ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর রক্তক্ষরণে শিউলি বেগম নামের এক নারীর মুত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রথম দিকে সন্তান ও মায়ের শরীর ভালো থাকলেও রাতে শিউলি বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সকালে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী শিউলি বেগমকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্বজনরা। এর মধ্যেই মারা যান শিউলি বেগম।
এর পরই ওই নারীর স্বজনরা ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ এনে রাইসা ক্লিনিকের মালিক ডা. মো. আবদুর রকিব খানকে মারধর করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় ডা. রকিবের। এ ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা নিতে গড়িমসি করা হয় বলে চিকিৎসক নেতারা অভিযোগ করেন।