মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় ন্যূনতম গুরুত্ব বহন করে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ রোববার বিকেলে এক বার্তায় সংস্থাটির প্রধান এমন মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি দমনে দুদক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আজই মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিনটি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ বাহক মারফত তথ্য-উপাত্ত চেয়ে জরুরি পত্র দেওয়া হয়েছে।’
দুদক আইন, ২০০৪ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুসারে এসব চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও রেকর্ডপত্র দ্রুত দিয়ে দুদককে সহায়তা করা হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব তথ্য ও রেকর্ডপত্র দিয়ে দুদককে সহায়তা করবে। দুদক একটি পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের মাধ্যমে অপরাধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে চায়। অপরাধী যেই হোন না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
‘আমি আগেও বলেছি, আজও বলছি- এসব ক্ষেত্রে অপরাধীদের সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশন ন্যূনতম গুরুত্ব দিবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবেই।’
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিন সংস্থার কাছে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে আজ রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে চিঠি দেয় অনুসন্ধান টিম।
দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের টিম গঠন করা হয় গত ১৫ জুন। গঠিত টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।
গত ১০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক জরুরি বৈঠকে করোনাকালে এম-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি-প্রতারণা বা জাল জালিয়াতির অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।