নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তরে বিপুল পরিমান বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি ঔষধ পোড়ানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে বিষয়টি সাধারণ মানুষের নজরে আসে। হাসপতাল চত্বরে ফ্লু-কর্ণারের পাশে এলবেন্ডাজল, প্যারাসিটামল, মেট্রোসহ কয়েকটি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ সরকারি ঔষধ পুড়িয়ে ফেলার চিহ্ন দেখে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপুল পরিমান সরকারি ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী মেয়াদ উত্তিণ হওয়ায় রোববার পুড়িয়ে ফেলেন ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। প্রায় প্রতি মাসেই এভাবে পোড়ানো হয় বিনামূল্য বিতরণের সরকারি ঔষুধ। অথচ হাসপাতালে অন্তঃ বিভাগে রোগীদের বাহিরে ঔষুধ থেকে কেনানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিএনজি চালক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে অত্র হাসপাতালে ভোরে ভর্তি হয়। অথচ জরুরি মুহূর্তে বাহির থেকে ঔষুধ কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে। অথচ এখন শুনি বিপুল পরিমাণ ঔষুধ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট কার্তিক বলেন, জায়গা না থাকায় করোনা ভ্যাক্সিনের ভায়েল ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা যারা করোনা ভ্যাক্সিন দিচ্ছে তারা বলতে পারবেন। সেখানে কোন সরকারি ঔষুধ ছিলনা বলে দাবি করেন তিনি।
হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক সুরুজ্জামান শামীম বলেন, সরকারি ঔষুধ পুড়ানো বা ফেলে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমি দুইদিনের ছুটিতে থাকায় বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কেএম শাহাবুদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে এক্ষুণি দেখছি। এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।