মাছ উৎপাদনে আবারও রেকর্ড অবস্থানে বাংলাদেশ। স্বাদু পানির মাছে উৎপাদন বাড়ানোর হারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এবার বাংলাদেশ। আর চাষের মাছের ক্ষেত্রে টানা ৬ বছর পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছে। বিশ্বে মাছ উৎপাদনের অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বৈশ্বিক এক প্রতিবেদনে ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়া কালচার-২০২০-এ’ উঠে এসেছে এসব তথ্য।
চালের পর এবার মাছ উৎপাদনে রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। এক বছরে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদন বাড়ার তালিকায় উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এই সময়ে বাংলাদেশে উৎপাদন বেড়েছে ৯ শতাংশ। বিশ্বে এই হার প্রায় ৫ শতাংশ।
আর বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ১২ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে শুধু ইন্দোনেশিয়ায়। তবে সামগ্রিকভাবে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনের আগের অবস্থান তৃতীয়তেই আছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ গেলো বছর উৎপাদন বাড়লেও মূল তালিকার ওপরের দিকে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও চীনকে এখনো ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
ওয়ার্ল্ড ফিশের টিম লিডার আব্দুল ওয়াহাব আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে মৎস্য উৎপাদনে জড়িতদের আরো বেশি প্রণোদনার প্রয়োজন।
ওদিকে মৎস্য বিভাগ বলছে, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনের হার বেড়েছে মূলত ইলিশের কারণে। গত এক যুগে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে জাতীয় মাছটির উৎপাদন এখন ৫ লাখ টন ছাড়িয়েছে। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন এক নম্বর। বিশ্বে মোট ইলিশের ৮০ শতাংশই উৎপাদিত হয় এখানে।
তবে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান এখন ৪ শতাংশ।