সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারিভাবে ইজারা কৃত একটি জলমহাল শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে জামাল হোসেন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বড়ইহাটি গ্রামের পেছনে থাকা গুমাই নদীর একটি ডোবায় নামক জলমহালে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জামাল হোসেন পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা উপজেলার লামারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে ইজারাকৃত উপজেলার বিভিন্ন জলমহাল ইজারায় নিয়ে অধিক মুনাফার লোভে এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু ইজারাদারেরা গত প্রায় ১০-১৫ দিন যাবত একেকটি জলমহালে শ্যালু মেশিন বসিয়ে পানি শুকিয়ে গোপনে তারা মাছ ধরে আসছিল। আর এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওইসব জলমহালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকে।
এ অবস্থায় গত প্রায় ৮ দিন আগে থেকে উপজেলার
গুমাই নদীর নামক জলমহালটি শুকিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সেখানে ৩টি শ্যালু মেশিন দিয়ে পানি সেচে আসছিল ইজারাদারের লোকজন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম ওই জলমহালে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ৮-১০ জন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেও জামাল হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয় এবং তাৎক্ষনিকভাবে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম বলেন, ওই জলমাহালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে জামাল হোসেন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে পাঁচদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা তিনটি শ্যালোমেশিন ইউপি সদস্য রইছ উদ্দিনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।