বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর নানা প্রতিকূলতার মাঝেও হাল ছাড়েননি জহিরুল ইসলাম জহির সরকার। একেবারে তৃণমূল পর্যায় হতে উঠে আসা জহির সরকার দলের দুঃসময়ে অসামান্য অবদান রেখেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। সেই সাথে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহ ছিল তার। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে একঝাক মেধাবী তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সমাজে অবহেলিত ও নিপীরত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে গড়ে তুলেছেন আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক সংগঠণ “পাশে দাঁড়াও”। জহির সরকারের নেতৃত্বে সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে অফুরস্ত সুনাম কুড়িয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি মডেল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
জানা গেছে, ত্রিশাল উজানপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন জহিরুল ইসলাম জহির সরকার। তার পিতা প্রায়ত নজরুল ইসলাম ছিলেন দুখুমিয়া বিদ্যানিকেতনের সাবেক প্রধান শিক্ষক, ত্রিশাল শিক্ষক কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ত্রিশাল উজান পাড়া এতিমখানা আলিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। জহির সরকার স্কুল জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ত্রিশাল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ত্রিশাল উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সজিব ওয়াজেদ জয় পরিষদ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক সংগঠন “পাশে দাঁড়াও” এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও স্কুল-কলেজ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ধানীখোলা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আব্দুল হাসিম, কবির মল্লিক, লিমন, বোরহান ও আপনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম জহির সরকার একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্মমুখী মানুষ। এ উপজেলার অসহায়-দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে দুঃখ-কষ্টের ভাগীদার হওয়ার চেষ্টা করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তার।
জহিরুল ইসলাম জহির সরকার বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ত্রিশালের বর্তমান সংসদ সদস্যের নির্দেশে মানুষের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। জনকল্যানের কাজ করে যাচ্ছি এবং সবসময় যেকোনো অবস্থায় মানুষের পাশে আমি আছি। আমার উপজেলায় মাদক ও সন্ত্রাস দূরীকরণ, বাল্যবিবাহ বন্ধ সহ নানা সামাজিক কাজে সর্বদা সচেষ্ট থাকি।