স্কটল্যান্ডের দুঃসাহসী সেনাপ্রধান ‘ম্যাকবেথ’ তিন ডাইনির ভবিষ্যদ্বাণী থেকে জানতে পারেন যে, একদিন তিনি স্কটল্যান্ডের রাজা হবেন। উচ্চাকাঙক্ষার দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে ম্যাকবেথ রাজা ডানকানকে হত্যা করে স্কটল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন। তার পরপরই অপরাধবোধ-প্রসূত এক মানসিক বিকৃতির বশে শত্রুতা ও সন্দেহের হাত থেকে নিজেকে রক্ষে করতে একর পর এক খুন করতে বাধ্য হন তিনি। সেই সঙ্গে ম্যাকবেথ হয়ে ওঠেন এক স্বৈরাচারী শাসক।
এই ঘটনালম্বনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের স্টুডিও থিয়েটারে ২০ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে মঞ্চস্থ হলো উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক ম্যাকবেথ। সৈয়দ শামসুল হকের অনুবাদে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিক। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রযোজনায় স্টুডিও থিয়েটার মঞ্চের দৃশ্যায়নে দেখা যায়, আলোর ঝলকানিতে ডাকিনীদের নৃত্য আর ছন্দের তালে সংলাপ। নাকারার শব্দে সেনাপতি ম্যাকবেথ এর আগমনী বার্তা দেয় তিন ডাকিনী। সেনাপতি ম্যাকবেথ এবং ব্যাংকো নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দেন। স্কটল্যান্ডের রাজা ডানকান ওই বিজয়ে উচ্ছ্বসিত। ম্যাকবেথের আতিথ্য গ্রহণ করেন তিনি। এদিকে উচ্চাকাঙক্ষা ও লোভ সংবরণ করতে পারেনা লেডি ম্যাকবেথ দম্পতি। সেই রাতেই রাজা ডানকানকে হত্যা করে স্কটল্যান্ডের অধিপতি হতে চায় তারা।
রাত আটটায় নাটকটির প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক মামুনুল হক, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আল জাবির, সহযোগী অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাজ স্বর্নাপ্রভা, ইমন তোকদারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
নাটকের আলোক প্রক্ষেপণ করেন এহতেশামুল অন্তর ও সাকিব, সঙ্গীত প্রয়োগ করেছেন পার্থ ও ফারহান, পোশাক সহযোগী ছিলেন শ্যামল ও সজীব, কোরিওগ্রাফে অপূর্ব, মেকাপে পুথি ও সাবরিনা এবং সেট বাস্তবায়নে ছিলেন খাইরুল বাসার, হিমেল ও নাফিস।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রযোজনাটির আরও প্রদর্শনীর প্রত্যাশার কথা জানান, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আল জাবির।