আজ ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে শত্রুমুক্ত হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা। দিবসটিকে স্মরণ করে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নানবিধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ‘চির উন্নত মম শির’ ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। এরপর সেখান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সবাইকে অন্তরে লালন ও ধারণ করতে হবে। ভালো মানুষ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’
কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল হালিম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আহাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ‘মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশাল, ত্রিশালে মুক্তিযুদ্ধ: একটি ক্ষেত্র সমীক্ষা প্রতিবেদন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকেল চারটায় একই স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, ত্রিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী।