বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃক ময়মনসিংহের ত্রিশালে “ইপিজেড” প্রকল্প স্থাপন করার কথা শুনা যাচ্ছে। এ নিয়ে ত্রিশালের মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এ উপজেলায় ইপিজেড ও বিমান বন্দর দ্রুত স্থাপনের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছে ত্রিশালের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। বিভিন্ন দিক তোলে ধরে কমেন্ট করছেন সচেতন মহলের ব্যক্তিরা।
ত্রিশালে এই প্রকল্প স্থাপন করার পরিকল্পনায় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ও যতদ্রুত সম্ভব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে ত্রিশালের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন “পাশে দাঁড়াও” এর চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদান করে। তার দাবীর সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে হাজারও মানুষ কমেন্টে করেন। এছাড়াও একজন কমেন্টে লিখেন, এর আগেও বাংলাদেশ সরকার ত্রিশাল উপজেলায় বিমান বন্দর স্থাপন করার প্রস্তাব করেছিল। কিছু সংখ্যক লোকের স্বার্থের কারণে ত্রিশালে লাখ লাখ মানুষের স্বপ্ন নষ্ট ভেঙ্গে যায়।
চকপাঁচ পাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেন বলেন, ত্রিশালে ইপিজেড স্থাপন করা হলে অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। সরকার বিরোধী একটি চক্র সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ব্যহত করতে ও নিজ উদ্যেশ্য হাসিলের লক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ইপিজেট স্থাপনে ষড়যন্ত্র করছে। মুষ্টিময় সরকার বিরোধী লোক এ পায়তারায় লিপ্ত আছে। এরা সমাজের নিরিহ লোক খোজে খোজে মগজ ধোলাই দিয়ে সরকারের বিরোদ্ধে উস্কিয়ে তুলছে। এ ব্যাপারে সচেতন মহলকে সজাগ থাকতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ত্রিশালে ৪০০ একর জমির উপর ইপিজেড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।