প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ত্রিশাল থেকে দু’দুইবারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানীকে তৃর্ণমূলের অবহেলিত নেতা কর্মীরা ত্রিশাল উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায়।
রুহুল আমিন মাদানী ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দুইবারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। ত্রিশালে আওয়ামীলীগের দলীয় রাজনীতিতে এক ব্যাক্তি দুইবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র সংসদ সদস্য তিনিই। ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রায় দুই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বিএনপি প্রার্থীকে। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন।
এমপি মাদানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনারবাংলা গঠনের আদলে ত্রিশালকে যোগাযোগে মডেল উপজেলা বিনির্মাণ,মহামারি করোনায় হতদরিদ্র জনগণের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা প্রদানে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।এমপি হিসাবে নয়,জনগণের সেবক হিসাবে করোনা মহামারিতেও তিনি জনগণের যে কোন সমস্যায় স্বশরীলে উপস্থিত হয়েছেন। করোনা পজেটিব হয়েও সবসময় মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন এমপি মাদানী।
পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্মআহবায়ক মোখছেদুল আমিন বলেন,“ত্রিশালের বিভিন্ন নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের হাইব্রিড নেতারা যখন নৌকাকে পরাজিত করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে তখনও তিনি নৌকার পক্ষে একক ভাবে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সততা, ত্যাগ তিতীক্ষার অগ্নি পরিক্ষায় বার বার উর্ত্তীণ হয়েছেন তিনি।ত্রিশাল আওয়ামীলীগের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের লড়াকু সিপাহশালা এমপি মাদানী। উনাকে উপজেলার সভাপতির দায়িত্ব দিলে তৃণমূল পর্যায় নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে দল সুসংগঠিত হবে।”
ধানীখোলা ইউনিয়নের কৃতিসন্তান, বীরমুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধাণর সম্পাদক আব্দুল হামিদ বলেন,“ রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরে মাদানী সাহেব ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগে দিকনির্দশক ও পরামর্শদাতা। ত্রিশালের তৃণমূলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে তিনি, ত্রিশাল উন্নয়নের রুপকার, মাটি ও মানুষের নেতা হিসাবেই পরিচিত।এমপি মাদানীর কাছেই ত্রিশাল আওয়ামীলীগ সবচেয়ে নিরাপদ। তাই কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরী, ডাঃ দিপু মনি, নাদেল ভাইসহ সকলের কাছে বিনীত প্রার্থনা ত্রিশাল ইউনিটে মাদানী সাহেবকে সভাপতি দায়িত্ব প্রদান করা হোক।”
এ প্রসঙ্গে উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নৌকাকে যারা উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরাজিত করেছে তারাই এখন সভাপতি হওয়ার জন্যে বিভিন্ন লবিং চালাচ্ছে। ত্রিশালের আওয়ামীলীগে অনেক সচেতন সুবিধা ভোগী ঐ বিশ্বাস ঘাতক নেতাদের উপজেলা আওয়ামীলীগে কোন দিনও ঠাই হবে না। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমরা আপনার প্রিয় নেতৃ জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রিয় নেত্রীবৃন্দের কাছে আকুল আবেদন, কর্মীবন্ধব এমপি মাদানী সাহেবকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব অর্পণ করা হোক।”
বৈলর ইউনিয়নের কৃতিসন্তান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মআহবায়ক এ এন এম শোভা মিয়া আকন্দ বলেন, “ যারা কালো টাকার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু তথা দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে উপজেলা ও পৌরসভার নির্বাচনে পরাজিত করেছে তাদের উপজেলা আওয়ামীলীগের পদ দিলে ত্রিশাল আওয়ামীলীগ ভাঙ্গনের মুখে পড়বে।দলকে শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করতে চাইলে বার বার পরিক্ষিত সৈনিক আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী সাহেবের বিকল্প নাই।”
আগামী দিনের রাজনীতির ভারসাম্য ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এমপির আর্দশ, নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনার প্রতি রয়েছে জনগণের অগাদ আস্থা ও বিশ্বাস।তাই তৃণমূল নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমপি মাদানীকেই ত্রিশাল উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায়।