ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেনের ঘর তৈরি করে দিয়েছে রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
ত্রিশাল পৌর এলাকার আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান বাড়ির সামনেই একটি ছোট্ট ঘরে বাস করেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন। মা, স্ত্রী, ৩ সন্তান নিয়ে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। কখনো রিক্সা-ভ্যান, কখনো চিতই পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বিদ্যা, বুদ্ধি কম থাকার কারণে এলাকায় অনেকে আলমগীর পাগলা বলে ডাকেন। সীমিত আয়ে ৬ জনের অন্ন, বস্ত্রের চাহিদা মেটাতেই শেষ হয়ে যায়। মাথা গুজার ঠাঁই টিনের চালা ফুটো হওয়ায় গড়িয়ে পানি পড়লেও চাল ঠিক তো দূরের কথা, মাটিতে লেগে থাকা টিন জং ধরে ক্ষয় হওয়ায় বড়বড় ফুটো দিয়ে কুকুর – বিড়াল প্রবেশ করলেও তা বদলাতে পারেননি আলমগীর হোসেন।
সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করার কথা বললে পৈত্রিক ভিটায় সরকারি ঘর তোলতে লজ্জাবোধ করেন আলমগীর হোসেন। এই অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন মরহুম আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যানের দৌহিত্র ও রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের অন্যতম দাতা ও সমন্বয়ক মোঃ মিনহাজ। তিনি সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সমর্থনে ঘর তৈরি করে তার চাবি আলমগীর হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবক আতাউর রহমান শামীম, বাসাস ত্রিশাল শাখার সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব, ত্রিশাল উপজলো দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মনিরুল হক খান, রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মিনহাজ, ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোসেন, ত্রিশাল রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ.এম জোবায়ের হোসাইন, সাংবাদিক রুকুনুজ্জামান সরকার রাহাদ, রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্য সোহান, তপন সাহা, বিরাজ, রোকন, তারেক, হারুনুর রশিদ শিকদার, উজ্জল, মানিক আচার্য্য, গৌতম দে, মোশারফ হোসেন, খোকন, হারেস, সানোয়ার হোসেন, সুজন আচার্য্য, জসিম উদ্দিন, মনোরঞ্জন সরকার, শরীফ, সিফাত আকন্দ প্রমূখ।
উল্লেখ্য রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যে গরীব, অসহায়দের ৭টি ঘর, অসংখ্য দুস্থ ও অসহায়দের চিকিৎসার খরচ ও গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
ঘর পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আলমগীর হোসেন বলেন, “আমি খুবই আনন্দিত। আল্লাহ তা’আলা রকিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যদের নেক হায়াত দান করুন যাতে তারা আমার মতো গরীব, অসহায়দের পাশে দাড়াতে পারেন।”