ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নওধার গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক ও সাইফুল ইসলামের ১০৯ শতাংশ জমির বোরো ধান কেটে আঁটি বেঁধে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম পারভেজের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
করোনাভাইরাস মহামারিতে শ্রমিক সংকটে দিশেহারা ত্রিশাল উপজেলার কৃষকের ১০৯ শতাংশ জমির বোরো ধান কেটে আঁটি বেঁধে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার মহান মে দিবসের সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার নওধার গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক ও সাইফুল ইসলামের জমির ধান কাটেন তাঁরা। শনিবার সকাল থেকে রোজা রেখে শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষকের ধান মাড়াই করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম পারভেজ।
কৃষক আব্দুল খালেক জানান, ক্ষেতের বোরো ধান পেকে ক্ষেতেই পড়ে ছিল। তীব্র গরম ও প্রখর রোদের তাপে শ্রমিকেরা ধান কাটায় অপারগতা প্রকাশ করছিলেন। এদিকে করোনা ও লকডাউনের কারণে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যাচ্ছিল। শ্রমিক সংকটের খবর পেয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম পারভেজের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে গিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ধান কাটেন। পরে কাটা ধান আঁটি বেঁধে বাড়িতে পৌঁছে দেন তাঁরা। বাড়িতে মেশিনের মাধ্যমে সেই ধান মাড়াইও করে দেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তারা আমার ধান কেটে না দিলে আমি বড়ধরনের লোকশানে পড়তাম। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম পারভেজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনা মতে সারাদেশ ব্যাপী ধান কাটা শুরু হয়েছে। শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় উপজেলার গরিব ও অসহায় কৃষকদের ধান কাটার কাজে সহযোগিতা করতে যুবলীগ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। যেখানেই শ্রমিক সংকট, সেখানেই যুবলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে কৃষকের ধান কেটে দেবে। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক অসচ্ছল কৃষক টাকার অভাবে তার ক্ষেতের ধান কাটতে পারছে না। এছাড়া যে কোন সময়ে আঘাত হানতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ সব কারণে অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই আমরা ত্রিশাল উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে ঐ সকল কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি।