ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দু’জন নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিতে বিশ্ব যখন উত্তপ্ত। এরই মধ্যে নীলফামারীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তি করেছেন ইশ্বর চন্দ্র রায় নামে এক হিন্দু শিক্ষক।
সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ককই বড়গাছা পি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ও-ই সহকারী শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকর মন্তব্য করেন।
আজ শনিবার (১৮ জুন) সকাল ১১টায় শিক্ষক কর্তৃক কটুক্তির প্রতিবাদে ককই বড়গাছা পি.সি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের সামনে সাধারণ জনগণের আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৫ জুন বুধবার বিকেল ৩টায় দশম শ্রেণির পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সামনে রুমের মধ্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তি মূলক কথা বলেন ওই শিক্ষক।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যে ধর্ম কখনো অন্য ধর্মকে অসম্মান করে না, অবজ্ঞা করে না। ইসলাম জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। সম্প্রতি ভারতের দু‘জন নেতা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং মা আয়েশা (রা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
ভারতের এই রেশ কাটতে না কাটতেই লক্ষীচাপ বড়গাছা পি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইশ্বর চন্দ্র রায় পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মুসলমানের শেষ নবী শয়তানের মতো ব্যবহার করতেছো কেন (নাউজুবিল্লাহ)। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরই সাথে যত দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।”
আব্দুল মতিন বলেন, “পৃথিবীতে কোনো জাতি ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে, আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধচারণ করে টিকে থাকতে পারেনি। বড় বড় শক্তিশালী জাতি নবী ও রাসূলদেরকে অসম্মান করার কারণে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আজকেও যারা ইসলাম ধর্ম ও নবী-রাসূলদেরকে নিয়ে অসম্মানজনক কথা-বার্তা বলছেন, তারাও একদিন পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”
ঈশ্বর চন্দ্র রায় গত ২০১২ সালের ২৬ জুলাই ককই বড়গাছা পি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় বলেন, আমার স্কুলের একজন শিক্ষক মুসলমানের শেষ নবী কে কটুক্তি করেন এই ঘটনাটি সত্য। আমরা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় রয়েছে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র স্কুলের সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।
খবর পেয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার সফিকুল ইসলাম এবং নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।