করোনা মহামারির মধ্যেই এবার ঈদ উল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট বসতে যাচ্ছে। রাজধানীতে এর জন্য ২৬টি স্থান নির্ধারণ করছে দুই সিটি করপোরেশন। আগ্রহী ইজারাদারদের দাবি স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার নির্দেশে মেনেই হাট পরিচালনা করা হবে।
তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বর্তমান পরস্থিতিতিে পশুহাটের অনুমতি দেয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা মোস্তাক হোসেন মাঠে হাট না বসিয়ে অনলাইনে কেনাবেচার পরামর্শ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি করপোরশেনে মোট ২৬টি কোরবানরি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪টি আর উত্তরে ১২টি স্থান নির্ধারণ করে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বলেন, হাট কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। মাঠে থাকবে ম্যাজিস্ট্রেট।
আগ্রহী ইজারাদাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আশ্বাস দেন। আবার ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে পশু কেনা বেচার পরিকল্পনার কথা জানান তারা।
আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা মুস্তাক হোসেন মনে করেন, সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় প্রচলিত পদ্ধতিতে পশুর হাট বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বড় হাট না করে এলাকা ভিত্তিক ছোট হাট আর অনলাইনে পশু কেনা বেচার পরামর্শ এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের।