জনস্বাস্থ্য ও মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন এখন বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় মুখ্য ভূমিকা পালনকারী রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি চলতি মার্চ থেকে বিশ্বব্যাংকের ‘রিস্ক কমিউনিকেশন’ উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউএস-সিডিসি’র উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। আশির দশকের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত ডা. মুশতাক হোসেন ১৯৮১ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি আইইডিসিআরের চিকিৎসা সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর নানা সংকট নিয়ে দেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই জনস্বাস্থ্য ও মহামারী বিশেষজ্ঞ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেশ প্রতিদিনের সম্পাদকীয় বিভাগের মশিউর রহমান রাজিব
দেশ প্রতিদিন : আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা এবং সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে দেশে করোনা মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন? আপনার মতে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?
মুশতাক হোসেন : বর্তমানে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দিন দিন এটা বেড়ে চলছে। গত ১০ মে থেকে যে শিথিলতা তৈরি করা হয়েছে তার একটা প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আজ যে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা, সেটা দু-তিন সপ্তাহ আগের শিথিলতার প্রভাব। এখনো অবশ্য শিথিলতার পরিবর্তন হয়নি। যদিও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন ঘোষণা করে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা তো শুধু একটা এলাকাকে কেন্দ্র করে। এখনকার ঘটনাগুলোর প্রভাব আগামী দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। সুতরাং বলা যেতে পারে আমরা এখনো সংক্রমণের ক্রমঊর্ধ্বগতির মধ্যে রয়েছি।
দেশ প্রতিদিন : সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে একই সঙ্গে কভিড এবং নন-কভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
মুশতাক হোসেন : হাসপাতালের বিষয়ে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা অবশ্যই পালনীয়। এখন যারা করোনা রোগী নয়, তারাও চিকিৎসার বিষয়ে সমস্যায় পড়ছেন। হাসপাতালে আসতে হলে করোনা পরীক্ষা করে আসতে হচ্ছে। এটাই যুক্তিসংগত। কেননা এটা না করলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করা দরকার। যাতে রোগীদের হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে না হয়। হাসপতালে যদি শয্যার অভাব থাকে, তাহলে কোথায় সেই শয্যার ব্যবস্থা করা যায়, সে ধরনের একটা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের থাকা দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু করোনা বাদেও অন্যান্য রোগেও তো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে এখন চিকিৎসা দরকার, এমন রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সুতরাং, এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল হওয়া দরকার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্বশীল আচরণ করা দরকার। হাসপাতালে শয্যা আছে কী নেই, সেটাও স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রদর্শন করা উচিত। তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন বিষয়টি যাচাই করতে পারে সেই ব্যবস্থাও থাকা উচিত। মানুষের কাছে প্রকৃত চিত্রটি পরিস্ফুটিত হওয়ার সুযোগ থাকলে বিক্ষোভের আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু স্বচ্ছতার সঙ্গে তা না হওয়ায় মানুষের মধ্যে অশান্তির উদ্রেক হচ্ছে এবং অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। এই সময়ে এরকম অনাস্থা তৈরি হওয়া ভালো কথা না।
দেশ প্রতিদিন : করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছে মানুষ। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ। আপনার কী মনে হয়?
মুশতাক হোসেন : স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর কেন মানুষের অনাস্থা থাকবে? হ্যাঁ, সম্পদের স্বল্পতা থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ হাসপাতালে আসছে কিন্তু হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা দুরূহ হয়ে উঠছে। এ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, হাসপাতালে যাতে রোগীর সংখ্যা কম হয়, সেজন্য কমিউনিটিতে সংক্রমণ বন্ধের বিষয়ে জোর দেওয়ার ব্যবস্থাটিকে অনুধাবন করতে হবে। আপনি কত লোকের জন্য হাসপাতাল তৈরি করবেন? ১৫ কোটি লোকের সবাই যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের সবাইকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা তো সবচেয়ে সম্পদশালী দেশেরও নেই। আমরা নিউইয়র্ক, ইতালি, যুক্তরাজ্য, জার্মানির অবস্থা দেখেছি। হঠাৎ করে যদি রোগীর সংখ্যা ৪০ বা ৫০ গুণ বেড়ে যায়, তাহলে তো কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। কমিউনিটিতে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সে ব্যবস্থাটা করা প্রয়োজন। মৃদু লক্ষণযুক্ত রোগীকে আইসোলেশনে রাখা, হাসপাতালে না গিয়ে ঘরে বসে আলাদা চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা কমিউনিটিতে থাকা দরকার। যদিও দেশে বেশিরভাগ রোগীই ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের ফলোআপ করা। যদি রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, যদি হাসপাতালে রোগীর ঢেউ আছড়ে পড়ে, তাহলে তো পরিস্থিতি আওতার বাইরে চলে যাবে। ইতিমধ্যে আইসিইউ-এর সংকট দেখা দিয়েছে। আইসিইউ-এর সংখ্যা রাতারাতি বাড়ানো যাবে না। আর আইসিইউ বাড়াতে গেলে দক্ষ জনবল লাগবে। এজন্য কমিউনিটিতে আক্রান্তদের শনাক্ত করে কমিউনিটিতেই চিকিৎসা দেওয়ার বিকল্প নেই।
দেশ প্রতিদিন : আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর জিএস ছিলেন। এখন জনস্বাস্থ্য ও মহামারী বিশেষজ্ঞ হিসেবে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন সাবেক ছাত্রনেতা এবং জনস্বাস্থ্যবিদ হিসেবে আপনি করোনা মহামারীর মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার রাজনৈতিক মূল্যায়ন কীভাবে করছেন?
মুশতাক হোসেন : রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করলে বলতে হয়, সরকারের প্রথম দিককার অ্যাসেসমেন্ট ঠিক ছিল। তারা ২৬ মার্চ থেকে জনস্বাস্থ্যের বিধিনিষেধ বা লকডাউন শুরু করেছে। আমাদের হেল্থ রেসপন্স প্ল্যান অনুযায়ী, সংক্রমণের চতুর্থ পর্যায়ে এটা করার কথা ছিল। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেটা আগেই করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিপূর্ণ জনকল্যাণমূলক নয়। যেমনটা রয়েছে সুইডেনে বা ব্রিটেনে। ব্রিটেনে অবশ্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধীরে ধীরে ব্যক্তি খাতে চলে গেছে। বাংলাদেশে প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করা জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা দরকার, সেটা খুবই দুর্বল। মহামারী নিয়ন্ত্রণে এটাই আমাদের একটা বড় দুর্বলতার জায়গা। পেরুর মতো দেশে হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সে দেশে কিন্তু প্রথম থেকেই জনস্বাস্থ্যের বিধি আরোপ করা হয়েছিল। ব্রাজিলে কিন্তু পাত্তা দেওয়া হয়নি। এখন পেরুতে ব্রাজিলের মতো আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তাহলে পেরুতে প্রথম থেকেই জনস্বাস্থ্যের বিধিনিষেধ আরোপ করার পরেও কেন বাড়ছে? কেননা, পেরুর সামাজিক বৈষম্য আমাদের মতোই তীব্র। যদিও আমাদের চেয়ে তাদের গড় আয় তিনগুণের বেশি। তবে তীব্র সামাজিক বৈষম্য থাকায় তাদের প্রান্তসীমার মানুষরা জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে জনস্বাস্থ্যের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়েছে। তারা সরকারের দেওয়া সহযোগিতা নেওয়ার জন্য ব্যাংকের সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এখানে ট্রাকের সামনে সহায়তা নেওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছে, আর সেখানে ব্যাংকের সামনে দাঁড়াচ্ছে। পার্থক্য এইটুকু। তারা ব্যাংকের সামনে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই দাঁড়াচ্ছে। সামাজিক বৈষম্য তীব্র হওয়ায় তারা জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বেরুনোর কারণেই সংক্রমণ বহুগুণ বেড়ে গেছে। আমাদের দেশেও কিন্তু একই বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশের সরকারের যেসব মন্ত্রী রয়েছেন, তাদের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। তারা বলছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করেছেন। আপনি যদি বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে জনস্বাস্থ্যের বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে আক্রান্ত এবং সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ান, তাহলে ওই বিশ্বই বলবে, ‘তোমরা মানুষের জীবন ও সমস্যার প্রতি উদাসীন। তোমাদের কাছ থেকে গার্মেন্টসের জিনিস নেব না।’ কাজেই কথাটি দ্বন্দ্বাত্মক। আমরা যদি বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য সতর্কতা এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে অবহেলা করি, তাহলে বিশ্বই আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। দুটি কারণে সরকার এটা করতে বাধ্য হয়েছে। প্রথম কারণ, সরকার প্রান্তিক মানুষের নিত্যদিনকার যে খাদ্যের চাহিদা সেটা জোগান দিতে পারছে না। আর যেসব উদ্যোক্তা রয়েছেন, তারা তাদের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছেন না। যদি আয় না হয়, তাহলে কোথা থেকে দেবেন? তারা দুমাস দিয়েছেন। তিনমাস কিংবা চারমাস দেওয়া সম্ভব নয়। এটা একটা সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা। আরেকটি হলো মানুষের চাহিদা। যখন সরকার মার্চ মাসের শেষ দিকে জনস্বাস্থ্যের বিধিনিষেধ আরোপ করল, তখন তা করার কথা ছিল না। কেননা, আমরা তখন মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিলাম। কিন্তু তখন মানুষ অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হলো। কিন্তু তিনমাস পরে চিত্রটা ভিন্ন। মানুষ বাইরে বেরিয়ে গেছে। মানুষ ঈদের সময় বাড়িতে গেছে। ঈদের সময় বাড়িতে যাওয়া কিন্তু অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা নয়। সামাজিক কারণ থাকতে পারে। মানুষের মধ্যে হাল্কাভাব দেখে সরকার ভাবতে পারে, আমি শুধু শুধু কড়াকড়ি করছি, মানুষের মধ্যে তো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই, কাজেই আমি এ দায়িত্ব কেন নেব? আমি বলছি না যে, কেউ আমাকে এটা বলেছে। সরকারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হয়েছে।
জনমত, জনচাপ সরকারকে সবকিছু করতে বাধ্য করে। তবুও সরকারের দায়িত্ব হলো, জনগণকে সচেতন করা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা। আমি উদাহরণ দিই। সড়ক দুর্ঘটনার দায় এড়াতে সরকার যদি বলে, ‘আমি ট্রাফিক আইন করেছি। নিয়মবিধি তৈরি করে দিয়েছি। ড্রাইভারকে সচেতন করেছি।’ কিন্তু তারপরেও জনগণ তো সড়ক দুর্ঘটনার জন্য সরকারকেই দায়ী করবে। কেননা সরকারের দায়িত্ব সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার। তেমনি, মহামারীর ক্ষেত্রেও জনগণকে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা এবং ক্ষেত্রবিশেষ আইন প্রয়োগ করা সরকারেরই দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে সরকার বা কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না। তারা বলতে পারে না যে মানুষ তো শুনছে না, বেরিয়ে যাচ্ছে।কাজেই শেষ বিচারে সরকার এবং সমাজে যারা নেতৃত্ব করছেন, তাদেরই দায়িত্ব জনগণকে সচেতন করা এবং উদ্বুদ্ধ করা।