শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আরিফা এদিব চৌধুরী নট্রামস বর্তমানে (নেকটার) এর নামে ভুয়া /জাল সর্টিফিকেট দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত চাকুরী করে আসছেন।
কম্পিউটারে তেমন দক্ষতা না থাকার কারনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা তাহার প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট সম্পর্কে সন্ধেহ করেন। উক্ত সার্টিফিকেটটি জেলা শিক্ষা অফিসারের স্মারক নং-জেশিঅ/সাত/২০২১/১২৬০, তারিখ-২৯/১১/২০২১ মোতাবেক সরকারী প্রশিক্ষণ সেন্টার, নেকটর, বগুড়ায় পাঠান। নেকটর উক্ত সার্টিফিকেটটি জাল/ভূয়া বলে সূত্র/স্মারক নং-৫৭.২১.০০০০.০০৭.৩৬.০০২.২১.১৩৪,তারিখ-৫ ডিসেম্বর ২০২১-এ লিখিত ভাবে জানান এবং ভূয়া/জাল সার্টিফিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। নেকটার (সাবেক নট্রামস) কর্তৃক জাল/ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির ০৬/১২/২০২১ খ্রিঃ তারিখের মিটিং নং-০৬/২০২১ এর গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন। ম্যানেজিং কমিটি ৫ বার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন কিন্তু উক্ত শিক্ষক জাল/ভূয়া সার্টিফিকেট সম্পর্কে সন্তোষ জনক জবাব দিতে পারেনি। পরবর্তিতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে ১২/০৪/২২ তারিখ তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। তদন্তে সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ী বরখাস্তের সুপারিশ করেন। ১২/০৪/২০২২ খ্রিঃ তারিখের ০৫/২০২২নং ম্যানেজিং কমিটির সভার রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী উক্ত শিক্ষকের পদ হইতে স্থায়ী বরখাস্ত করেন এবং চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উহার কপি প্রেরণ করেন।