সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সহ সবকটি হাওরের ইতিমধ্যে কয়েকটি নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি গ্রাস করেছে বোরোধান, অন্য দিকে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে চাউল বিহীন ধানের শীষে মরন ধরেছে, শুধু দাড়িয়ে আছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাড়িয়েছে অর্ধেকে, কৃষকরা বাঁধ ভাঙার খবর শুনে, দুর্বল ক্লান্ত মন নিয়ে হাহাকার নিরভে চলছে শুধুই বুবা কান্নার আহাজারি, এলাকা জোরে চলছে শুধুই হাই উথাসের দির্ঘ নিঃস্বাস। সাড়া বছরের অপেক্ষার সুনালী ফসল চোখের সামনে ধ্বংসের দৃশ্য দেখতে হবে এটাতো কোনো দিন ভাবেনি কৃষকরা। সাড়া বছরে বৈশাখী একটি মাত্র ফসল ঘরের গুলায় তোলার কতোই না স্বপ্ন ছিল জনমনে, পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর এবং প্রকল্প পি আই সি ‘র’ অনিয়ম দুর্নীতির কারণে, কৃষকের হাড়ভাঙা খাটুনির সোনার ফসল হারিয়ে ডুবে যাচ্ছে পানিতে। মরন দশায় নেমেছে হাওর অঞ্চলের মানুষ। এছাড়াও কৃষি অফিসার গনের সঠিক সময়ে সরজমিনে তদারকির দায়িত্ব পালন না থাকায়, ব্লাস্ট রোগের আক্রান্ত হয়ে চলে গেছে অর্ধেক ফসল , চাউল বিহীন শীষগুলো শুধুই ধাড়িয়ে আছে, কৃষকের ধারণা, ক্ষতির পরিমাণ অর্ধেকে দাড়িয়েছে ধান চাষের সঠিক উপকরণের অভাবে। কৃষি অধিদপ্তরের কতৃপক্ষের অবহেলার কারণে, কৃষকরা ফসল হারিয়ে জনজীবন মরন দশায় নেমেছে, নিরভে দুমড়ে দুমড়ে কাঁদছে, কে দিবে কৃষকের ক্ষতি পরনের ডাক।