শিরোনাম
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত অধিকার নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহে মৌন মানববন্ধন

সংশোধনের জন্য ৭০ শিশুকে বাবা-মা’র কা‌ছে ফেরত পাঠালেন আদালত

আল হাবিব, সুনামগঞ্জ থে‌কে
  • আপডেট সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
  • ৮৪ দেখেছে

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আদালত এমন ৭০ শিশু অভিযুক্তদের সংশোধনের জন্য বাবা মা’এর কাছে ফেরত পাঠালেন। আদালতের নির্দেশে ওদের হাতে বাংলাদেশের পতাকা, ফুল আর ডায়রি তুলে দিলেন আদালতের কর্মীরা।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই ব্যতিক্রমী রায় দিলেন। শুধু তাই নয় সুনামগঞ্জে বিভিন্ন সময়ে দায়ের হওয়া ৫০ টি মামলায় ৭০ জন শিশু আদালতে এসে হাজিরা দিতে হতো। মারামারি, ছোটখাটো চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল এদের বিরুদ্ধে। কোমলমতি এসব শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠতে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ে। শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবার উপক্রম হয়। আদালত এই শিশুদের কারাগারের পরিবর্তে মা-বাবার জিম্মায় ফেরৎ পাঠিয়ে শিশুদের জীবন সুন্দর ও মানবিক গুণাবলি নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য সংশোধনের শর্ত দিলেন। আদালতের এমন রায়ে আবেগাপ্লুত হলেন অভিযুক্ত শিশু তাদের অভিভাবকরা।

আদালতের দেওয়া শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে নিয়মিত পড়াশুনার পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু ভাল কাজ করা এবং ডায়রীতে তা লিখে রাখা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা, সবার সাথে সদ্ভাব রাখা এবং ভাল ব্যবহার করা, বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলা এবং বাবা মায়ের সেবা যত করা ও কাজে কর্মে তাদের সাহায্য করা, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা এবং ধর্মকর্ম পালন করা, প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা, ভবিষ্যতে কোন অপরাধের সাথে নিজেকে না জড়ানো। এসব শর্ত প্রতিপালিত হচ্ছে কি না তা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর আদালতকে অবহিত করবেন।

সুনামগঞ্জ প্রবেশন কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান বলেন, আদালতের দেওয়া শর্ত শিশুরা মানছে কি না সেটা তদারকি করার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। আসলে আদালতের এমন রায় প্রশংশনীয়।

সুনামগঞ্জ শিশু ও মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হাসান মাহবুব সাদী বলেন, ব্যতিক্রমী রায়ের দিনটি স্মরণিয় ও ইতিহাস হয়ে থাকবে পুরো বাংলাদেশে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!