সর্বজাহানের মহা মানব বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) কে ভারতের নুপুর শর্মা এবং বিজিপির মূখপাত্র অনিল চন্ডাল কর্তৃক কটুক্তি ও অবমাননার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শানে রেসালাত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা এবং ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের উদ্যোগে শনিবার সকালে শহরের শহীদ স্মৃতিপৌর উদ্যানে এই সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মহানবীকে কটুক্তির প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রস্তাব আনার আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে সংসদে আইন পাস চাই যে নবীকে নিয়ে কটুক্তি করলে তার শাস্তি দিতে হবে। না হয় আরও কঠোর কর্মসূচি দেবার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেণ বক্তারা। তারা আরও বলেন, কোন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য ধর্মের মানুষ এবং তাদের মালের ওপরে কোন প্রকার হিংস্রাত্ত্বক মনোভাব পোষণ করা যাবেনা। এটা ইসলামের কোন শিক্ষা নয়। কোন ব্যক্তি ইসলামের আদর্শের বাহিরে গিয়ে কোন প্রকার অপৃতিকর ঘটনা সৃষ্ট করলে তার দ্বায়ভার ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকেই নিতে হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনারা যার যার অবস্থান থেকে বোঝানোর চেষ্টা করুণ যে, বাংলাদেশে কোন ধর্মের ভেদাবেদ নেই। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করি। তা নাহলে আপনাদের দোকানপাট থেকে একজন মুসলমানও কোন পণ্য ক্রয় করবে না। এছাড়াও মুসলমানদের ভারতে উৎপন্ন সকল ধরণের পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানানো হয়।
শানে রেসালাত সমাবেশে জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাও. আব্দুল বাসেত খান। এতে বক্তব্য রাখেন, নাগরপুর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দেলদুয়ার উপজেলার সভাপতি মাওলানা আতিক হাসান, ইমাম সমিতির নেতা মাওলানা মুফতি এরশাদুল ইসলাম আলমগীর, জেলা খেলাফত মজলিশের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী শামসুল হক কাসেমী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিবৃন্দ এবং দলমত নির্বিশেষে কয়েক সহ¯্রাধিক সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। শানে রেসালাত সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেছেন খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম।