ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল ও শ্রীঘর দুই গ্রামের লোকের মাঝে নদীর পাড়ে ধানতোলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষ চলাকালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে উভয় গ্রামের প্রায় ২৫ জন আহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের মাঝে মিজান মিয়া (৩০), আরজান মিয়া (২০), দিপু মিয়া (২০), দানা মিয়া (২৮), আরমান (২২), মহসিন (১৯) শফিকুল (১৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), তারা মিয়া (৪০), মাহমুদুল হাসান (২৬), আব্দুল করিম (৪৫), মহসিন (১৫), জুনাইদ (১১) সহ সবাইকে নাসিরনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
এর মাঝে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ ও অন্যান্যরা বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানাগেছে লঙ্গন নদীর তীরে ধানতোলাকে কেন্দ্র করে শ্রীঘর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে জুনাইদ (৩৪) ও আশুরাইল গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে জালাল মিয়ার মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শ্রীঘর গ্রামের মৃত সানু মিয়ার ছেলে নায়েব উল্লাহ (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত নায়েব উল্লাহকে নাসিরনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আশিক মর্তুজা সীমান্ত বলেন প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে নায়েব উল্লাহ হার্টএটাকে মারা যেতে পারে তবে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া এখনো সঠিক ভাবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।
নাসিরনগর সরাইল আশুগঞ্জে দায়ীত্বরত (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটা তমথমে ভাব বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্র জানাগেছে। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।