শিরোনাম
ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত

ফেসবুকে পোস্টই কাল হ‌লো সাংবাদিক আবুল কাশেম বাবুর

সারোয়ার হোসেন, তানোর (রাজশাহী) থে‌কে
  • আপডেট সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৭৮ দেখেছে

শুধু মাত্র নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি লিখা পোস্ট করার অপরাধে সাংবাদিক আবুল কাশেম বাবুর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ও তার স্বামী বখাটে আলমগীর হোসেন। কি ছিল সেই পোস্টে?, কাশেমের আইডিতে লিখা ছিল “গত রমজান মাসে করোনার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে আইডি কার্ড ছবিসহ শত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রীখন্ডা গ্রামের তথাকথিত ব্যাংকারের বিরুদ্ধে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।” এই লিখা পোস্ট করার জন্য আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ডাঃ বেলি খাতুন সাংবাদিক আবুল কাশেমের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।

জানা গেছে, গত রবিবার ইফতার কিনতে কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা মোড়ে আসেন সাংবাদিক আবুল কাশেম। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই পরিকল্পিত ভাবে আলমগীর ও তার স্ত্রী লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। সাথে সাথে কাশেমের মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে।মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় অন্তত বিশটির মত সেলাই দেওয়া আছে।
এদিকে আলমগীর মাথা ফাটিয়ে দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন এবং দম্ভক্তি দেখাচ্ছেন। অথচ ওই দিন ঘটনাস্থলে যায় এসআই নিজাম।

স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বলেন, রবিবার আলমগীর ও তার স্ত্রী শ্রীখন্ডা মোড়ে তাদের ঔষধের দোকানে লোহার রড লাঠি সোটা রেখেছিল কাশেমকে মারার জন্য। এখন গ্রামের কিছু ক্ষমতাসীন দলের পাতি নেতারা ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। আলমগীর গরিব অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোন সাংস্হা থেকে করোনার টাকা দিবে বলে ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নেয় প্রায় ৯০০ ব্যক্তির কাছ থেকে। তাদের ভুল ভাল বুঝিয়ে নিজের স্ত্রীর জন্য ভোট নেয় কিন্তু করোনার টাকা পাইয়ে দেওয়া ছিল ভাওতাবাজি। আলমগীর সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাত নেতা আব্দুর রহিমের মার্কেটে দোকান করেন। তার বিরুদ্ধে কোন দোকানি কথা বললে তাকে মার্কেট থেকে বের করে দেওয়া হয়। শুধু তাই না আলমগীর শ্রীখণ্ডা শাপলা গ্রাম উন্নয়ন নামের এক সমিতির মাধ্যমে রমরমা সুদের ব্যবসা করেন। কিন্তু আলমগীর জানান আমি মাইক্রোক্যাডিটের সনদ নিয়ে ব্যবসা করছি। আলমগীরের বাব দাদার প্রকৃত বাড়ি পাবনা জেলায়। তার পিতা এসব এলাকায় হাড়ি থালা বিক্রি করতেন। এঅবস্হায় শ্রীখন্ডা গ্রামে বিয়ে করেন। আলমগীর ওই এলাকায় এক প্রকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার ভয়ে কেউ মুক খুলতে পারেনা। আবার নিজেকে কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও দাপট দেখান।

আবুল কাশেম জানান, আমি ইফতার কিনতে যায়। তখন আমার উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি মেডিকেলে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছি আর হামলা কারীরা উল্লাস করছে। তবে সকালের দিকে ওসি এসে সকল ধরনের ব্যবস্হা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলা কারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!