সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি কল্পনাও করা যায়না পঞ্চগড় সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে।
এছাড়া জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে নেয়া হয় বিভিন্ন উৎসের নামে চাঁদা। পঞ্চগড় সাব রেজিস্ট্রি অফিসের এমন সংবাদ নিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়ারেজের চেম্বারে অবরুদ্ধ হন সময় টেলিভিশনের পঞ্চগড়ের ষ্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহিম ও ক্যামেরা পার্সন মুনির হোসেন।
এ সময় সমিতির সদস্যরা সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও ছবি তুলতে বাধা দেয়। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের পুরাতন পঞ্চগড়ে অবস্থিত জেলা রেজিষ্টার ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে দলিল লেখক সমিতিসহ বিভিন্ন নামে চাঁদা আদায় করার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এমন বিব্রত ঘটনার সম্মুখীন হয় সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার ও ক্যামেরা পার্সন।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রিপোর্টার ও ক্যামেরা পার্সন অফিস চত্বরের বাইরে আসে। এ ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার আব্দুর রহিম ও ক্যামেরা পার্সন মুনিরকে অবরুদ্ধ করার বিষয় নিয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়ারেজের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আজ থেকে কোন সাংবাদিক সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ঢুকলে মেরে পাঠিয়ে দিবো বলে জানান। বিব্রতকর এ বিষয়ে পঞ্চগড় সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার আশরাফ আলীকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এঘটনায় জেলার সকল সংবাদকর্মী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।
সাংবাদিকরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করছে।
স্থানীয় লোকজন ও দলীল সম্পাদনকারীরা এর বিচার দাবি করছে। তারা বলছে দলীল লেখক সমিতির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম আর দূর্নীতি করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।