দূর্ণীতির শীর্ষে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১নং সাহগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুন। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম মামুনুর রশীদ এর ধার্য্যকৃত টাকা ছাড়া মেলে না জন্ম সনদ ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিচার শালিসের নামে অর্থ আদায় এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার নামে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ চাঁদাবাজির অভিযোগ। প্রতিটি শালীসেই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পক্ষপাত করা হয়ে উঠেছে তার নিত্যদিনের কাজ। হুমকি-ধামকি ও আইনের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন পুরো ইউনিয়ন জুড়ে। জন্ম সনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিতে প্রতিটি নাগরিক হচ্ছে হয়রানি। অভিযোগ রয়েছে তিনি রশিদ ছাড়া অধিক টাকা না দিলে কারো জন্ম সনদ অথবা ওয়ারিশান সার্টিফিকেটে সই করেন না।
ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গেলে বিভিন্ন প্রকার হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্ৰহীতারা এমনটা অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে ওয়ারিশ সার্টিফিকেটর জন্য নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা যা পূর্বের চেয়ারম্যান ১০০ টাকা নিত। এছাড়া বিচার শালিস করার নামে অর্থ নিয়ে পক্ষ পাতিত্ব করারও অভিযোগ আছে চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘অ’ অধ্যক্ষ নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, গ্ৰাম্য আদালতে মামুনুর রশীদ চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের একটি শালিস ছিল। সেই শালিসে চেয়ারম্যান আমাদের কথা না শুনে একতরফা রায় দেন। রায়ের বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে নারাজি দিলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং বলে রায় না মানলে তোকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবো।
আশরাফুল নামের আরও একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমার মাটি কাটা চলছিল ঠিক ঐ মুহুর্তে চেয়ারম্যান এসে বলে আশরাফুল কে ?’তখন আমি বলি আমি আশরাফুল’ চেয়ারম্যান গাড়িতে তুলে নিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর বলে তোকে মেরে ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর ফেলে দিবো তোর কত বড় মেম্বার আছে ডাকদে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে পরিষদে নিয়ে মোবাইল সামনে এগিয়ে দিয়ে বলে, তোর কোন বাপ আছে ডাকদে তোকে এখন পুলিশে দিব। পরে পরিবার থেকে লোকজন এসে পরিষদ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আমাকে।
আশরাফের খালাতো ভাই অভিযোগ করে বলেন, কিছু দিন আগে আমার ভাই আশরাফকে অহেতুক ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় মামুন চেয়ারম্যান। এখন বাড়ি এসে আমার ভাবীকে নানা ধরনের হুমকি গালাগালি করে। আমার বিরুদ্ধে পরিষদ থেকে নটিশ পাঠানো হয়। আমি নোটিশের জবাব দিতে গেলে আমার উপর রেগে গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর বলে চৌকিদার দিয়ে বেঁধে রাখবে।
মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুলের ছেলে ইমরান বলেন, আমার পুরাতন পুকুর খননের কাজ চলছিল। আমি না থাকাকালীন চেয়ারম্যান এসে ভেকুর চাবি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান বলে, কার অনুমতি নিয়ে পুকুর খননের কাজ চলছিল। আমাকে উপর মহল থেকে ফোন করে কাজ বন্ধ করতে বলেছে। তাই আমি চাবি নিয়ে এসেছি। এখন চাবি নিতে গেলে অফিস খরচ দেওয়া লাগবে। পরে দুই দফায় আমার কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা নিজে নেয় মামুন চেয়ারম্যান।
হাছেন নামের একজন প্রতক্ষদর্শী জানান, নুরুল মৃর্ধা নামে একজনের কাছ থেকে পুকুর খননের জন্য ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ তিনি এই লেনদেনে স্বাক্ষী হিসেবে ছিলেন।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।