নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইন অমান্য করে ওভার লোড নিয়ে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অর্ধশতাধিক দশ চাকার ডাম্পার বালুবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকের বেশির ভাগ বালু বহন করে। যেগুলোর ওজন সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ টন। এ ধরনের অতিরিক্ত লোড নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তায় বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন রাস্তায় যানজটের সৃষ্টির পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, পরিবহন চালক, যাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আত্রাই নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সৈয়দপুর বড় পয়েন্ট থেকে ট্রাকে বালি নিয়ে কলেজ রোড হয়ে নওগাঁ, রাণীনগর, নাটোর ও কালিগঞ্জ, সিংড়া যাচ্ছে। বেওলাঁ পয়েন্ট থেকে ট্রাকে করে বাগমারা, মান্দা, মাধনগরসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে ।
সরকারি সম্পদের ক্ষতি করলে এর শাস্তি বিধান নিশ্চিত থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দিন রাত অবাধে চলাচল করছে বালুবাহী দশ চাকার ডাম্পার।
এলাকাবাসী জানায়, বালু বহনকারী বেপরোয়া যান চলাচলে ধুলো-বালি উড়ে রাস্তার দু’পাশের ঘর-বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
অটোরিকশা চালক মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, আমি অটোরিকশা চালাই, আমাদের উপজেলায় সরু রাস্তা নাই। তারমধ্যে ১০ চাকার ট্রাক চলাচল করাই আমাদের মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এবং রাস্তার অনেক জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ করে বলেন, আত্রাইয়ে রাস্তায় দশ চাকার ডাম্পার ট্রাক চলাচলের কারণে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এই ডাম্পার ট্রাক ছাড়া অন্যান্য কোনো যানবাহনে করে যদি মালামাল পরিবহন করে তাহলে রাস্তার বেহাল দশা হতো না। এ ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগও পোহাতে হতো না। এই ডাম্পার ট্রাক বন্ধের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জুনায়েদ আলম বলেন, আত্রাই উপজেলায় ১০ চাকার ট্রাক চলাচলের জন্য কোন রাস্তা নাই। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি এর কোন প্রতিকার হয়না।