দীর্ঘ ১৮ বছর পর ১ মার্চ মঙ্গলবার নেত্রকোণা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ, উদ্দীপনা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নেত্রকোণা রাজনৈতিক অঙ্গনের সিংহ পুরুষ খ্যাত, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী সাবেক সভাপতি, তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এডভোকেট ফজলুল রহমান খানের কন্যা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী। তিনি ১৯৮৪ সালে প্রথম জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করেন ছাত্র রাজনীতি। একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান নেত্রকোণা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
হাবিবা রহমান খান শেফালী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে জামাত-শিবির রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হেফাজত ইসলাম ও বিএনপির তান্ডবলীলা এবং আগুন সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা আরো সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে দুঃসময়ে একজন ত্যাগী নেত্রী ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে হাবিবা রহমান খান শেফালীকে নেত্রকোণা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান বলে তারা জানিয়েছেন।
এদিকে ১ মার্চ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান নেত্রকোণা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা রহমান শেফালী বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগ দিয়ে বাংলাদেশকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন, দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। যারা ভূমি ও গৃহহীন, তাদের জমি সহ ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দিয়েছেন। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও ধারাবাহিকতাকে সামনে এগিয়ে নিতে এবং সংগঠনকে সঠিক রাজনৈতিক চর্চা সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে এবারের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নেত্রকোণা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করবেন আমি বলে আমি বিশ্বাস করি।