জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম প্রয়াণ বার্ষিকী পালন করেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাব।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে কবির স্বরণে আলোচনা ও দোয়া করা হয়। ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আরিফুর রহমান রাব্বনীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফকরুদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন ত্রিশাল বাগান আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও বিশিষ্ঠ সাংবাদিক আনোয়ার সাদাত জাহাঙ্গীর, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ত্রিশাল প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার ত্রিশাল প্রতিনিধি মনির হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক ও সাপ্তাহিক সবুজ সময় ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। নজরুলের কবিতা ও গান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধা ও এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে। আন্দোলন সংগ্রামে তার কবিতা-গান আমাদেরকে অনুভতির শক্তি, সাহস ও অনুপ্রেরণা এনে দেয়।
এছাড়াও জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিশালের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।