রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার তালন্দ হাটের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারের সাথে খারাপ আচরণ করায় ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন সাবেক কাউন্সিলর পিয়ারুল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরের আগে তালন্দ বাজারে ঘটে ঘটনাটি।এঘটনায় ঘর নির্মাণ কারী কাউন্সিলরের ভাতিজা ওসি ওবাইদুর রহমান মুকুলসহ দখলবাজ দের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে হাটের ব্যবসায়ীরা। ফলে ঘর নির্মাণ বন্ধ হওয়ায় হাটের মাছ ব্যবসায়ীদের মাঝে এক প্রকার স্বস্তি বিরাজ করছে।
জানা গেছে, তালন্দ হাটের মাছ বাজারের দক্ষিণে রাতের আধারে পাকা ঘর নির্মাণ করছিলেন হরিদেবপুর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র ওসি ওবাইদুর রহমান মুকুল।কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে না থাকলেও দেখভাল করছিলেন তার চাচা মোজাম ও সাবেক কাউন্সিলর পিয়ারুল। এঅবস্হায় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার তহসিল অফিস নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এদিকে সোমবার সকালের দিকে তহসিলদার লুৎফর রহমান ও ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার পুলুক কুমার সরেজমিনে মাপা শুরু করেন এবং ওসির পক্ষে ছিলেন পিয়ারুল ও মোজাম । মেপে জায়জাটি হাটের মধ্যে পড়ে বলে সার্ভেয়ার জানালে পিয়ারুল তার উপর উত্তেজিত হয়ে আবল তাবল কথাবার্তা বলেন। সার্ভেয়ার কোন কথা না বলে শুধু বলেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে বাস্তব ঘটনা বলা হবে।
তালন্দ বাজারে বাসিন্দা জমি মাপা আমিন শফিকুল জানান, তাদের ওই জায়গাসহ আরো জায়গা হাটের ও স্কুলের। আমি তাদের কাছে কাগজ দেখতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় পিয়ারুল ও তার ছেলে। শেষে আমার কথায় সঠিক হল।
দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও সহকারী কমিশনার ভুমি সুস্মিতা রায়সহ ঘটনাস্থলে যান।
জুয়েলসহ বেশকিছু প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, প্রশাসন কে দেখে পিয়ারুল ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রোজার জন্য তাকে ক্ষমা করে সতর্ক করে দিয়ে বলেন আগামী বৃহস্পতিবার পুনরায় জায়গা মাপা হবে এবং কিসের বলে জায়গা পেয়েছেন তার কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন।
ওসি ওবাইদুর রহমান মুকুলের চাচা মোজাম ও পিয়ারুল জানান, সুমাসপুর মোজা ধরে মেপে জায়গা সঠিক আছে।কিন্তু তালন্দ মোজা ধরে মেপে দেখা যাচ্ছে কিছু অংশ হাটের মধ্যে পড়েছে।
সার্ভেয়ার পুলুক কুমার জানান, জায়গা হাটের এতে কোন সন্দেহ নেই।তারপরও স্যারেরা বৃহস্পতিবার পুনরায় দিন দিয়েছেন। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।