হঠাৎ করে ঝড় ও বৃষ্টির কারণে তানোর উপজেলা জুড়ে কৃষকের কষ্টে অর্জিত বোরো ধান মাটিতে শুয়ে পড়ে গেছে। এতে নতুন করে কৃষকের চোখে মুখে দেখা দিয়েছে হতাশার ছাপ। একেতো ধান কাটা শুরু তার ভিতরে শ্রমিক সংকটতো আছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে মাঝারি ঝড় ও বৃষ্টি। ফলে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার বোরো চাষিরা। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন মাঠ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে মৃদু ঝড়ো হাওয়া ও অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের বোরো ধান মাটিতে পড়ে শুয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক কৃষকের ধান ডুবেও গেছে। এমনকি অনেকের কাটা বোরো ধানের জমিতে পানি জমে গেছে। কৃষকেরা জমি থেকে পানি বের করে দিতে কোদাল দিয়ে জমির আইল কেটে পানি নিষ্কাসন করছেন। তানোর উপজেলা যশপুর গ্রামের সাবের আলী নামের একজন কৃষক জানান,তিনি ২০বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছি। ইতিমধ্যে প্রায় সবগুলো ধান একসাথে পাক ধরেছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে ধান কাটা পড়বে। কিন্তু হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাতে ঝড় ও বৃষ্টিতে আমার জমির সব ধান পড়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এসব ধান কাটতে সব শ্রমিক চায়না। আর যেসব শ্রমিক মাটিতে পড়া ধান কেটে দেয় তাদের গুনতে হয় তিনগুণ বেশি টাকা। পাশাপাশি ঠিকমত শুকনো খড় পাওয়া যায়না। বৃষ্টিতে ধান ভালো থাকলেও খড় গুলো পঁচে যায়। এতে কৃষকের লাভের চাইতে লোকসান হয় বেশি। তানোর পৌর এলাকার গুবির পাড়া গ্রামের কৃষক সারোয়ার হোসেন তোফাজ্জল হোসেন জানান, তাঁরা বিলকুমারী বিলে অনেক আশা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন। ধানও খুব ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করেছেন তাঁরা। তবে যেভাবে একদিনের ঝড়ে ও বৃষ্টিতে ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে তাতে ধান কাটা শ্রমিক পাওয়ায় দশদায় হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল্লা জানান,এখন পর্যন্ত আবহাওয়া কৃষকের অনূকূলে রয়েছে। হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাতের ঝড় বৃষ্টিতে কৃষকের ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। তবে এ ধান পড়ায় কৃষকের তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যাদের ধানের জমিতে পানি জমে রয়েছে তাঁরা জমিতে থেকে পানি দ্রুত নিষ্কাসন করতে হবে বলে জানান তিনি। উপজেলা জুড়ে এবার বোরো চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে বিলের জমিতে বোরো চাষ হয়েছে ১হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে।