ঈদ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে বুধবার দিন ব্যাপি জেলা সদররের বেশকয়েকটি ইউনিয়নে একযোগে মাথাপিছু দশ কেজি করে চাল বিতরণ করেন সংশ্লিস্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন। সকাল নয়টা সদরের আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ ও ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিস্টরা আনুষ্ঠানিকভাবে দরিদ্র পরিবারের মাঝে দশ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
ঈদের আগে সরকারের বরাদ্দকৃত দশ কেজি করে চাল পেয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঈদে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে দরিদ্র পরিবারকে চাল দিয়েছেন আমাদের মাধ্যমে। আর এসব চাল নেয়ার পর কেউ যদি বাইরে বিক্রি করে দেয় তাহলে আর কখনো ওই পরিবারকে সুবিধা প্রদাণ করা হবে না। কারন যাদের প্রয়োজন তারাই চাল নিয়ে পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে খাবেন।
কিন্তু উল্টো চিত্র সুখানপুখুরি ইউনিয়নে সেখানে চাল বিতরণের সময় প্রত্যেক কার্ডধারিদের আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অধিকাংশ সুবিধাভুগী। তবে বিষয়টি বরাবরের মত অস্বীকার করেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান।
অন্যদিকে বেগুনবাড়ি ইউনিয়নে চাল বিতরণের সময় সুবিধাভোগিদের হাতে চাল তুলে দেয়ার পর দরিদ্র কার্ডধারি অভাবি মানুষগুলোর কাছে বস্তার দাম আদায় করা হয় ২৫ টাকা করে। এতে ক্ষুদ্ধ ওই ইউনিয়নের সুবিধাভোগীরা। এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনি আমিন সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, বস্তার টাকা না নিয়ে চাল আনা নেয়ার খরচ কে দিবে। তাই খালি বস্তা প্রতি ২৫ টাকা করে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, চাল বিতরণে অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।