প্রতিবেশীর সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ নিয়ে বাড়াবাড়ি, বন্ধকি জমির টাকা নিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা, মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অপকর্মের ঘটনায় এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে মমিতুল। এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ঘটছে এসব ঘটনা।
বালিপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত কুরবান মৌলভীর ছেলে মমিতুল ইসলাম। বেশ কয়েক বছর চকরামপুর বাজারের একটি বেকারিতে কাজ করতেন। হটাৎ পেশা পরিবর্তন করে ফসলি জমি বন্ধক দিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। অতঃপর কৌশলে চলে সেই টাকা আত্মসাতের চেষ্টা। কৃষককে ওই বন্ধকি জমিতে কোন ধরনের ফসলের চাষ করতে দেন না মমিতুল। কেউ প্রতিবাদ করলে তার নামে দেওয়া হয় মিথ্যে ও সাজানো মামলা। মামলা থেকে রেহাই পেতে বন্ধকির টাকায় নিষ্পত্তিতে যেতে বাধ্য হন নিরীহ কৃষকরা। নানা অপকর্মের মাঝেই মমিতুল একসময় জানতে পারে, তার দূর সম্পর্কের এক শ্যালক পুলিশের এসআই। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে বাড়তে থাকে মমিতুলের অপরাধ প্রবনতা। সম্প্রতি একই গোষ্ঠি (প্রতিবেশী) নাজমুল হক, বজলুল হক, এনামুল হক, আব্দুস সালাম, আবুল কালাম ও সোহেলের পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয় মমিত। ক্ষমতার দাপটে কেটে ফেলে আসাদুল হকের কয়েকটি চারাগাছ।
স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বাদল জানান, ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় মমিতের কাছ থেকে তিন কাঠা জমি ক্রয় করেছিলাম। ভোগ-দখলে থেকে চাষাবাদকালে বছরখানেক আগে পুলিশ এনে ওই জমিটি আবারও নিজের দখলে নেয় মমিত। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।
উম্মে কুলসুম নামে এক নারী জানান, বছর দুই আগে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৮ কাঠা জমি বন্ধকে নিয়েছিলাম। সেই টাকা পরিশোধ না করেই, অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি ছফির উদ্দিন বলেন মমিতের বাবার লাশ সামনে রেখে মসজিদের নামে জমি দান করে প্রায় ২০ বছর পরে সেই জমি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। ভোক্তভোগি আসাদুল হক বলেন, বাড়ীর সিমানা অতিক্রম করে আমাদের জমিতে এসে গাছ কেটে ফেলে, এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আমাকে ।
এ বিষয়ে মমিতুল বলেন, আমার কেনা জমি এইজন্য রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি, আমার গাছ আমি কাটছি, ওদের কাছে আমি টাকা পাবো তাই জমি বন্ধকি টাকা আটকা দিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, ঐ বিষয় গুলো নিয়ে আমি দরবার করছি ওদের টাকা ফেরত দিবে বলছে কিন্তুু টাকা ফেরত দিচ্ছে না মমিতুল।