সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় জুয়ের (১৩) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার হরিনা বাগবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।জুবায়ের বাগবাটি ইউনিয়নের ধলডোব গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
আহত শিক্ষার্থীর নানা কুরান আলী বলেন, জুবায়ের ছোট ভাই ৭ম শ্রেণির ছাত্র তার ছোট ভাইয়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে কথা কাটা কাটি হয়। সেই কথা কাটা কাটিতে জুবায়ের তার ভাইকে ঘটনার স্থল থেকে সরাইয়া নিয়ে আসে।
ওই ঘটনার বিচারের কথা বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম আমার নাতিকে কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে আহত জুবায়ের জানান, আমার ছোট ভাই কে তার সহপাঠীরা মারছে দেখে আমি আমার ভাইকে ওখান থেকে নিয়ে আসি তার পর শহিদুল স্যার দপ্তর কে দিয়ে ব্যাত নিয়ে এসে আমাকে রুমের ভিতরে নিয়ে মারা শুরু করে। স্যার কে আমি বলি, আমি অসুস্থ আমাকে আর এভাবে মারবেন না, আপনার পা-ও ধরে বলি। আমাকে বাচিয়ে রেখেছে টাকার উপর প্রতি মাসে ৫৪ হাজার টাকার ঔষধ লাগে কিন্তু স্যার আমার কোন কথাই শোনে নাই।না শুনে আরও বলেন মাইর দিলে আর ঔষধ লাগবে না। তার পর আর কি হয়েছে আমি কিছু ই জানি না।
এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে জুবায়ের মা বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় থাকেন ফোন দিয়ে বলা হয়েছে, সে এসে আইনের ব্যাবস্থা নিবে বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলামকে তার মুঠো ফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।