শিরোনাম
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত অধিকার নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহে মৌন মানববন্ধন

চিতলমারীতে প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রণে স্লুইচগেট, ইচ্ছে মতো খোলায় ফসল ডুবছে কৃষকের!

মোঃ মিরাজুল শেখ, বাগেরহাট থে‌কে
  • আপডেট শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ১২৪ দেখেছে

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাছ ধরার সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইচগেট দখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা উপজেলার গাবতলা স্লুইচগেট খুলে দেওয়ায় পানির তীব্র স্রোতে খড়িয়া শ্রীরাম বিলের নিলয় কুমার দে নামের এক চাষির ২৫ বিঘা মাছের ঘের ও বোরো ধানের আবাদ তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ওই চাষির।

এছাড়া চিত্রা নদীর পাড়ে পাঁচকুলিয়া, হরিণনালা, আমতলা, খিলিগাতি, ডুমুরিয়া, বাশতলাসহ আরও অনেক স্লুইচগেট নিয়ন্ত্রণ করে প্রভাবশালীরা। ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তারা খুশিমতো গেট খুলে আবার বন্ধ করে। ফলে স্থানীয় চাষি ও কৃষকরা মৎস্য ঘের তলিয়ে যাওয়া ও বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। এ অবস্থায় দ্রুত গেটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে পানির ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখার দাবি জানান তারা।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জনবল নিয়োগের মাধ্যমে শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষি নিলয় কুমার দে বলেন, ২৫ বিঘা জমিতে ধান ও মাছ চাষ করি। পনের থেকে বিশ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরুর কথা ছিল। মাছও বেশ বড় হয়েছে। হঠাৎ গাবতলা গেটটি খুলে দেওয়ায় পানির স্রোতে ঘেরের পাড় ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠবো আর কীভাবেই বা সংসার চালাবো বুঝে উঠতে পারছি না।

পার্শ্ববর্তী আরেক কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গেট খুলে দেওয়ায় গোনের সময় পানির চাপে আমারও ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। আমার মতো অনেক কৃষকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার যদি অন্তত গেটগুলো যথাযথ ব্যবস্থাপনায় রাখে তাহলে আমাদের মতো কৃষকরা বাঁচতে পারে।

চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন শেখ বলেন, স্লুইচগেটগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। তারা যদি আমাদের লিখিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয় তাহলে আমরা যথাযথভাবে এর দেখভাল করবো।

বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য এক শ্রেণীর অসাধু লোক এই গেটগুলোকে তাদের নিজেদের স্বার্থে খুলে দেয়। ফলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের গেটগুলো দেখভালের জন্য যে লোকবল দরকার তা এখন নেই। তবে লোকবল নিয়োগ হলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!