চামড়া খাতে আসতে শুরু করেছে স্থগিত হয়ে যাওয়া রপ্তানি আদেশ। চামড়ার জুতা এবং চামড়াজাত পণ্যের জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে বলে জানালেন রপ্তানিকারকরা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির তথ্যমতে, জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে, চামড়া শিল্পের উন্নয়নে আরো কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
রপ্তানি পণ্যের বাজার বহুমুখী করতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে ২০১৭ সালের জন্য প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়। তবে, অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, দীর্ঘদিন ধরেই মন্দাবস্থা এ শিল্পে। এর মধ্যে এসে পড়েছে করোনার প্রাদুর্ভাব। এত সংকটের পরও, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ইতিবাচক হলেও, এখনো অনেক পিছিয়ে আছে দেশের এই শিল্প। তাদের দাবি, স্থগিত হয়ে যাওয়া আদেশ গুলো ফিরে আসাতেই কিছুটা বেড়েছে রপ্তানি আয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রপ্তানি বাজারে চামড়াশিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এবং এ খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে, প্রয়োজন আরো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। পাশাপাশি বাড়াতে হবে কূটনৈতিক তৎপরতা।
চামড়া খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি নিশ্চিত করার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।