যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই গোয়াইনঘাটে এবার মিলল হাত পা বাঁধা আরেক যুবকের লাশ। পৃথক খুনের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আতংক দেখা দিয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্ত এলাকা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে জাফলং গুচ্ছগ্রামের সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প এলাকার একটি টিলা সংলগ্ন জমি থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ জানতে পারে জাফলংয়ের সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের প্রায় পাঁচশত গজ পূর্ব দিকে ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমা রেখার কাছে একটি টিলা সংলগ্ন জমিতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. নজরুল ইসলাম ও গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ওমর ফারুক মোড়ল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং নিহত ব্যাক্তির ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে তার পরিচয় সনাক্ত করেন।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যাক্তির নাম মো. কাউছার মিয়া। সে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কালাম বহরপুর গ্রামের আব্দুল বাছিতের ছেলে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাকেরপেকেরখাল গ্রামের খাল থেকে মুক্তার হোসেন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুক্তার হোসেন উপজেলার ভিতরগুল গ্রামের কুটু মিয়ার ছেলে। হঠাৎ করে গলাকাটা ও হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধারের ঘটনাশ উপজেলা জুড়ে আতংক দেখা দিয়েছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ করছে। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার দাবি করেছেন সচেতন মহল।