বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। বলেন, করোনার সময়ও অনেকে চিকিৎসা করাতে বাইরে গেছেন। কাজেই সে সুযোগ তিনি পেতে পারেন। তবে দুদক আইনজীবী বলছেন, উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনোভাবেই দেশের বাইরে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া।
দুই বছর এক মাস ১৬ দিন পর ২৫ মার্চ বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান দুর্নীতি মামলায় সাজা প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু জেলে থাকার সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য যে তোড়জোড় ছিলো তা আর দেখা যায়নি পরে। করোনার কারনে বাস ভবন ফিরোজা থেকে আর বেরও হননি খালেদা জিয়া।
দীর্ঘ দনি ধরে একাধিক রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাই বিশেষ বিমানে তাকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে অনেকেই এ করোনা সংকটের মধ্যেও দেশ ছেড়েছেন। সেই সুযোগ পেতে পারেন খালেদা জিয়াও।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের এই আইনজীবী বলছেন, দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে হলে আপিল বিভাগের অনুমতি লাগবে খালেদা জিয়ার। কারণ, দেশেই চিকিৎসা নেয়ার কথা বলা আছে মুক্তির শর্তে।
আগামী সেপ্টেম্বরে ৬ মাস শেষ হবে খালেদা জিয়ার। এরপর মুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে তখনই।