গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর,উলিপুর,ফুলবাড়ী,চিলমারী,রাজারহাট উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
শনিবার (১৮ই জুন) সকালে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কুড়িগ্রাম,ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার “মোঃ মিনহাজুল ইসলাম” ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেদুল হাসান কুড়িগ্রাম সদর,কুড়িগ্রাম।
এ সময় তিনি পানিবন্দি হওয়া যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চড়ে দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, শুকনা খাবার, খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।
এবারের বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্বে যাত্রাপুর,পাঁচগাছী,ঘোগাদহ,ভোগডাঙ্গা,মোগলবাসা ইউনিয়নের একাংশের প্রায় তিন হাজারের অধিক পরিবার নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন “মোঃ মিনহাজুল ইসলাম” অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কুড়িগ্রাম,ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার কুড়িগ্রাম।
“মো রাসেদুল হাসান”উপজেলা নির্বাহী অফিসার কুড়িগ্রাম সদর কুড়িগ্রাম
“আলহাজ্ব আব্দুল গফুর”চেয়ারম্যান যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কুড়িগ্রাম সদর কুড়িগ্রাম।
সঙ্গে ছিলেন, ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।
এ-সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেদুল হাসান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই, আসতেই পারে। আমাদের নিকট পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। একজন মানুষও অভুক্ত থাকবে না। এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।