কুড়িগ্রামের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে বেকারি ও কনফেকশনারীর মালিকরা সর্বশান্ত হতে চলেছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ময়দা, চিনি ঘি, ডিম, দুধ, ওভালটিন, সয়াবিন তেল, পাম্পওয়েল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব মূল্যে বেকারি মালিকরা তাদের উৎপাদিত খাদ্যপন্য বিক্রি করতে গিয়ে লোকশানের মুখে পড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেও সেই সাথে মানুষের শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ায় সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ তাদের দৈনন্দিন ব্যয় কমিয়ে আনছে।
এ কারণে বেকারিতে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বেকারি শ্রমিকরা তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির জন্য মালিকদের তাগাদা দিচ্ছে। এ সকল কারণে বেকারি ও কনফেকশনারী ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করণ এবং ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিশেষ প্রনোদনা থাকায় সরকারি ভাবে স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি বরুণ কুমার শাহা জানায়, অস্বাভাবিক হারে নিত্য খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বেকারি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারি ভাবে বিশেষ প্রনোদনার আওতায় বেকারি মালিকদের স্বল্প সুদে ব্যবসায়িক ঋণ প্রদান করলে বেকারি মালিকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের রজনীগন্ধা বেকারি এন্ড কনফেকশনারী মালিক মোহাম্মদ আলী জানায়, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বেশি দিতে হচ্ছে। সে তুলনায় বেকারিতে উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের মূল্য বাজারের সাথে সমন্বয় করে বৃদ্ধি করা জরুরী হয়ে পড়েছে।