কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে আলোচিত ডাকাতিসহ সরকারি কর্মচারী খুনের মামলায় আদালত দুই সহোদরসহ চারজনকে ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে কাশেম ও তার সহোদর ভাই নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে লিটন ও মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে ছাত্তার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও অন্যান্যসুত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার সিংগুয়া গ্রামের গণপূর্ত বিভাগের সাবেক কর্মচারী আব্দুর রহমান আমিনের বসত বাড়িতে আসামীরা ডাকাতি করতে আসে। ডাকাতি করাকালে আব্দুর রহমান বাঁধা দিলে আসামীরা আব্দুর রহমানকে ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় আব্দুর রহমানের স্ত্রী নূরুন্নাহারকেও ছুরিকাঘাত করে আসামীরা। পরে নগদ ৮০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসামীরা সটকে পড়ে। খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা আহতদের উদ্ধার করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নূরুন্নাহার বাদী হয়ে চিহ্নিত ৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম ৮জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানী শেষে স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক এই রায় প্রদান করেন বলে জানা গেছে।