শিরোনাম
ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত

কাউনিয়ায় তিন যুগ ধরে সাইকেল-ভ্যান মেরামত করছেন ‘জামির মেকার’

মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর) থে‌কে 
  • আপডেট শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮৪ দেখেছে

১৯৯১ সালের কথা। পিতার স্বপ্ন আদরের সন্তান পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হবে। তাই ছেলেকে ভর্তি করে দেন স্থানীয় এক স্কুলে । কিন্তু, দারিদ্র্যর কারণে পিতার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্কুলের গণ্ডি না পেরোতেই শুরু হয় জীবিকার লড়াই। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ২য় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছেলেকে লেগে পড়তে হয় সাইকেল মেরামতের কাজে। তারপর থেকে আর ক্লাসে ফেরা হয়নি।

সেই শিশু জামির হোসেনের বয়স ৬২ বছর। তিনি রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাব্দী গ্রামের মৃত্যু ঃ আব্দুর ছহির খানের ছেলে। এলাকার সবাই তাকে এখন ‘জামির মেকার’ হিসেবে চিনে। জীবন-জীবিকার তাগিদে যিনি দীর্ঘ,, বছর ধরে সাইকেল মেরামতের পেশা অঁাকড়ে আছেন। উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভেলুপাড়া বাজারে একটি ভাড়া করা দোকানে ভ্যান, রিক্সা।

বাইসাইকেল মেরামতের কাজ করে তাঁর জীবন চলে। জামির হোসেনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। একমাত্র ছেলে ও দুই মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। ছেলে ঢাকায় থাকেন। এখন পরিবারের সদস্য বলতে তিনি আর তাঁর স্ত্রী।
সম্প্রতি কথা হয়েছে জামিরের সঙ্গে। গল্পে গল্পেই তিনি শোনান জীবনযুদ্ধের গল্প। জামির হোসেন বলেন, তাঁর সাইকেল মেকার হওয়ার কথা ছিল না। পড়া-লেখা শিখে পিতার লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে তিনি এখন সাইকেল মেকার! অবশ্য এ জন্য তাঁর কোন দুঃখ নেই। জামির হোসেন বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। এ বয়সেও শরীরে বড় ধরনের কোন অসুখ নেই। চোখে দেখতেও কোন সমস্যা হয় না। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইসাইকেল ও ভ্যান গাড়ি মেরামত করে যা আয় হয় তাতেই কোন মতে সংসার চলে। তবে বর্তমানে অটো চার্জার ও মোটরসাইকেল প্রায় প্রতিটি বাড়িতে থাকার কারণে এখন আর মানুষ বেশি সাইকেল ব্যাবহার করে না এবং কাজ ও কম হয় তাই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
জামির হোসেন জানান, রংপুরের নামকরা সাইকেল মেকার মন্তাজ আলী,তাঁর উস্তাদ তার কাছেই তিনি এ কাজ শিখেছেন। পরে একটি ঘর ভাড়া করে নিজেই কাজ শুরু করেন। তিন পুরুষের সাইকেল মেরামত করে আসছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কাজ শিখেছেন এমন কেউই আর বেঁচে নেই। তিনিই এলাকার প্রবীণ সাইকেল মেকার। তাঁর কাছ থেকে অনেকেই এ কাজ শিখে বর্তমানে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!