শিরোনাম
ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত

করোনা পরিস্থিতিতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে গর্ভবতীদের

  • আপডেট শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০
  • ৩৬১ দেখেছে

গর্ভবতী মা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, সংক্রমণের ভয়ে চিকিত্সকদের রোগী দেখতে অনীহা, চিকিত্সকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ থাকা, টিকা না দেওয়া, অপর্যাপ্ত প্রসব সেবা, যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা— এমন নানা কারণে বেড়েছে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের মৃত্যুঝুঁকি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে—বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত নারীর দুই শতাংশই গর্ভবতী। এ কারণে এই সময়ে গর্ভধারণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা।

বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ এ সময়ে গর্ভধারণ না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত চেকআপ করতে না পারাটা যেমন বিপজ্জনক, তেমনি গর্ভবতী মা করোনায় আক্রান্ত হলে বিপদ আরো বেশি। করোনায় আক্রান্ত মায়ের সন্তান জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। আবার মৃত সন্তানও প্রসব করতে পারে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত নারীর দুই শতাংশই গর্ভবতী।

এদিকে ইউনিসেফ বলছে—করোনার জন্য মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে মায়েদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সন্তান জন্মদানের হার ঐ একই সময়ে কমেছে ২১ দশমিক দুই শতাংশ।

গাইনি ও অবস্ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সংযুক্তা সাহা এ সময়ে গর্ভবতী মায়েদের বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ব্যবহারের সব কিছু আলাদা করা, সম্ভব হলে আলাদা ঘরে থাকতে হবে। এর পরও আক্রান্ত হলে হেল্প লাইনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইউনিসেফ এর মাতৃ ও কৈশোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এ এস এম সায়াম বলেন, এ সময় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব কমেছে ৩১ শতাংশ; যা আশঙ্কাজনক। গর্ভকালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চারটি চেকআপ নিশ্চিত করা জরুরি। করোনা আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি; তাই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো, স্বাভাবিক প্রসবের ছয় ঘণ্টা ও অপারেশন হলে দুই দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ত্যাগ করার গাইড লাইন দিয়েছে ইউনিসেফ।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরিফ বলেন, গর্ভবতী মা যেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। হাইকোর্টের নির্দেশ আছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সকল হাসপাতাল গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য। তাই করোনা আক্রান্ত বলে গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!