করোনায় সারা বিশ্বের মানুষ বিধ্বস্ত। মৃত্যু, অসুস্থতা, হতাশা ও বিভীষিকাময় সারা দেশ। এর মধ্যেই গত এক মাসে ৩০৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০১ জন নারী ও শিশু। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড পরিষদের প্রকাশিত প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে গতকাল বুধবার দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার ১০১ জনের মধ্যে ৬৯ জন ধর্ষণ ও ২৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সাতজনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে।
গত জুন মাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে তিনজন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয়জন। একই সময় এসিড আক্রান্তের শিকার হয়েছে একজন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে চারজন। অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন। এ সময় পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় একজনকে। একই সময় বিভিন্ন কারণে ৬২ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচজনকে।
এ সময় দুই গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে এবং একজন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
এ ছাড়া গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে সাত নারীকে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ নারী ও কন্যাশিশু এবং উত্ত্যক্ত করা হয় পাঁচজনকে। গত এক মাসে বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া ৩৪ নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ফতোয়ার শিকার হয়েছে একজন। বাল্যবিবাহ হয়েছে এক কন্যাশিশুর।